সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুনে দগ্ধদের চিকিৎসায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট সার্বিকভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেছেন, 'এ ঘটনায় অনেকে দগ্ধ হয়েছেন। ২০০ এর বেশি রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আমরা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট প্রস্তুত করেছি। এখানে তাদের সব ধরনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।'
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের গ্র্যান্ড বলরুমে রোববার সকাল ১১টায় এক সেমিনারে বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সোসাইটি অফ নিউরো সার্জন্স এই সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাহিদ মালেক বলেন, ‘দেশে নিউরোসার্জারির অবকাঠামো ও আধুনিক যন্ত্রপাতি রয়েছে। তবে আমাদের লোকবল, বিশেষজ্ঞ ঘাটতি আছে। দেশে ২১০ জন নিউরোসার্জন আছে, আমাদের প্রয়োজন আরও অনেক বেশি। রোগীদের যেন বিদেশে যেতে না হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। এই পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তাব দিয়েছি, যা বিবেচনাধীন।
‘করোনার পাশাপাশি সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। করোনার মধ্যেই ১০ হাজার চিকিৎসক, ১৫ হাজার নার্স ও আটটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।
‘করোনা মহামারির প্রভাব কমলেও আসন্ন বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়বে।’
সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীর বিএম কনটেইনার ডিপোতে শনিবার রাতে আগুন লাগে। এতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আগুনে দগ্ধ ও আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। তাদের প্রায় সবাইকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দগ্ধ এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ তিনজনকে ইতোমধ্যে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।