বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কুষ্টিয়ায় খুচরা বাজারে চালের দাম কমল এক টাকা

  •    
  • ৫ জুন, ২০২২ ১৪:৪৩

ক্রেতা সমসের আলী বলেন, ‘এক মাসে ১১ টাকা বাড়িয়েছে মিলমালিকরা। যতটুকু বাড়িয়েছে ততটুকু কমালে স্বস্তি আসবে।’

কুষ্টিয়ায় মিলপর্যায়ে মিনিকেট চালের দাম কমার এক দিন পর খুচরা বাজারেও দাম কমেছে।

খুচরা বাজারে শনিবার ৬৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া মিনিকেট চাল রোববার বিক্রি হচ্ছে ৬৬ টাকায়। এ ছাড়া বাসমতী, কাজল লতাসহ অন্য চালের দামও কেজিতে ১ টাকা করে কমেছে।

ভোক্তারা বলছেন, এক মাস ধরে চালের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১১ টাকা, এখন ১ টাকা নয়, আরও বেশি কমানো দরকার। ভরা মৌসুমে যেভাবে দফায় দফায় দাম বাড়ানো হয়েছে সেভাবে কমানোর দাবি তাদের।

কুষ্টিয়া পৌর বাজারের খুচরা বিক্রেতা সরোয়ার মোল্লা বলেন, ‘চালের সরবরাহও কিছুটা বেড়েছে। তবে বেশি চলে এমন ব্র্যান্ডের চাল এখনও কিনতে হচ্ছে ৬৩ থেকে ৬৪ টাকায়। খুচরা পর্যায়ে গতকাল যে চাল ৬৭ টাকায় বিক্রি হয়েছে, তা আজকে ৬৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’

একটি চালকলের রসিদ দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘মিলে দাম কমলে খুচরা বাজারেও কমে যাবে। আমাদের দাম বেশি রাখার সুযোগ নেই। পাকা রসিদ ছাড়া প্রশাসন মানবে না।’

মো. রাব্বি নামের এক রিকশাচালক বলেন, ‘এক টাকা কমিয়ে কী হবে, যা ইনকাম হয় চাল কিনতে গিয়েই শেষ হয়ে যায়।’

ক্রেতা সমসের আলী বলেন, ‘এক মাস ধরে ১, ২ করে ১১ টাকা বাড়িয়েছেন মিলমালিকরা। এখন এক টাকা কমালে গরিবের কী লাভ হবে? যতটুকু বাড়িয়েছে ততটুকু কমালে স্বস্তি আসবে।’

কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাব কেপিসির সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব বলেন, ‘মিলমালিকরা ধান কাটার সময় কম দামে ধান কিনেছে। এখন বাজারে ধানের দাম বাড়লেই তারা চালের দাম বাড়ান। সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এক ধরনের মিলমালিকরা এসব কারসাজি করছে। জনগণের ভোগান্তি সৃষ্টি করছে।’

এদিকে মিলগুলোতে ধান-চাল মজুত এবং মুনাফার ব্যাপারটি নিয়মিত মনিটর করার কথা বলছে খাদ্য বিভাগ।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের টিম প্রতিদিনই দেখছে কী পরিমাণ মজুত আছে। আর কত দামে ধান কিনে কত দামে চাল বিক্রি করছে। অসংগতি ধরা পড়লেই ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে অভিযান চালানো হবে।’

মিলমালিকদের মজুত ও অধিক মুনাফা না করার নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সরু চালের বড় মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগরে ৪৫০-এর অধিক চালকল থেকে সারা দেশে সরু চাল সরবরাহ করা হয়। এখানে দাম কমলে প্রভাব পড়ে দেশের বাজারে। ধানের দাম কমায় এখানকার মিলে শুক্রবার থেকে চালের দাম কমতে থাকে। শুক্র ও শনিবার দুই দিনে মিনিকেট ৫০ কেজির বস্তায় ১০০ টাকা পর্যন্ত দাম কমে। রোববার নতুন করে দাম কমেনি।

তবে মিল থেকে আগের দিন চালের দাম কমানোর প্রভাব অবশেষে দেখা গেছে খুচরা বাজারে।

এ বিভাগের আরো খবর