রাত থেকে জ্বলছে কনটেইনার ডিপো। সকালে নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনও আগুন নেভেনি। কিছুক্ষণ পরপর বিস্ফোরণও হচ্ছে।
এই আগুনে শুধু চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীর বিএম কনটেইনারই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, আগুন ও বিস্ফোরণের ভয়াবহতার ছাপ পড়েছে আশপাশের বাড়ি এবং দোকানেও।
শনিবার রাতের আগুনের ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী।
কনটেইনার ডিপো-লাগোয়া আরএফএলের একটি ডিপো। সেখানে চাকরি করেন আল আমিন।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘একটা কনটেইনারে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস আসে। যখন সরাসরি কনটেইনারে পানি মারা হয়, ঠিক তখনই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়।
‘কেউ কেউ আগুনে আবার কেউ কেমিক্যালে ঝলসে যায়। তাদের অ্যাম্বুলেন্সে করে মেডিক্যালে পাঠানো হয়। কনটেইনারের কেমিক্যালের কারণে আগুন নিভছিল না।’
অনেকেই সে সময় আগুনের লাইভ করছিলেন। বিকট শব্দের পর তাদের লাইভ বন্ধ হয়ে যায়।
ডিপোর আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিস্ফোরণের কারণে কিছু বাড়িঘরের দরজা-জানালার কাচ ভেঙে গেছে। রাসায়নিকের ড্রাম উড়ে গিয়ে পড়ে কয়েকটি বাড়ির টিনের চাল গলে গেছে। রাসায়নিক ছিটকে অনেকে আহত হয়েছেন।
রাসায়নিকের ঝাঁঝালো গন্ধে ভারী হয়ে আছে এলাকা। স্থানীয়দের মধ্যে কাজ করছে আতঙ্ক।
স্থানীয় আসমা নূর বলেন, ‘অনেক দূর থেকেও শব্দ পাওয়া গেছে। আমরা বিকট শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। একের পর এক ব্লাস্ট হচ্ছিল। সন্তান ও পরিবারের কথা চিন্তা করে রাতেই বাড়ি থেকে বের হয়ে যাই।’
বিএম কনটেইনার ডিপোয় শনিবার রাত ৯টার দিকে আগুন লাগে। এখন পর্যন্ত আগুনে ৩২ জনের প্রাণহানি হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, শনিবার রাত ৯টা ২৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় তারা। চট্টগ্রাম ও এর আশপাশের জেলাসহ ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করছে। রাতে বিস্ফোরণ অব্যাহত থাকায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দীর্ঘক্ষণ আশপাশে যেতে পারেননি। এর সঙ্গে যোগ হয় পানির স্বল্পতা।
রাত ১১টার দিকে কনটেইনার বিস্ফোরণ শুরু হয়। এতে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে।