বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাকা ছাড়ল বিমানের প্রথম হজ ফ্লাইট

  •    
  • ৫ জুন, ২০২২ ১৩:২৩

রোববার সকাল ৯টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সৌদি আরবের জেদ্দার উদ্দেশে ছেড়ে যায় ফ্লাইটটি। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সূত্র জানায়, ফ্লাইটটি বিমানের প্রথম হজ ফ্লাইট। বিমানটি জেদ্দায় পৌঁছাবে স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে।

প্রথম দফায় ৪১০ হজযাত্রী নিয়ে সৌদি আরবের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইট বিজি-৩০০১।

রোববার সকাল ৯টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সৌদি আরবের জেদ্দার উদ্দেশে ছেড়ে যায় ফ্লাইটটি। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সূত্র জানায়, ফ্লাইটটি বিমানের প্রথম হজ ফ্লাইট। বিমানটি জেদ্দায় পৌঁছাবে স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ৩১ মে হজ ফ্লাইট শুরুর কথা ছিল। কিন্তু নানা কারণে ঠিক সময়ে হজ ফ্লাইট শুরু হয়নি।

ঘোষণা অনুযায়ী এ বছর হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার কথা ছিল ৩১ মে থেকে। তবে সৌদি কর্তৃপক্ষ প্রস্তুত না থাকায় ৫ জুন ফ্লাইটের দিন ঠিক করা হয়।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হজ ফ্লাইট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বিমান। বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

হজ ফ্লাইট কার্যক্রমের উদ্বোধন ও প্রথম ফ্লাইটের যাত্রীদের বিদায় জানাতে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। ছবি: নিউজবাংলা

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এবার হজ হতে পারে ৮ জুলাই। সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ৫৭ হাজার হজযাত্রীর অর্ধেক বহন করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। বাকি অর্ধেক করবে সৌদি রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনস ও ফ্লাই নাস।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়, এবার বাংলাদেশ থেকে হজ পালনের সুযোগ পাচ্ছেন ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় চার হাজার ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৩ হাজার ৫৮৫ জন হজে যেতে পারবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিমান প্রাক হজে ৬৫টি ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালনা করবে। এর মধ্যে জেদ্দা রুটে ৫১টি ও মদিনা রুটে ১৪টি ফ্লাইট পরিচালিত হবে। যার মধ্যে চট্টগ্রাম-জেদ্দা রুটে ৯টি, চট্টগ্রাম-মদিনা রুটে ২টি ও সিলেট-জেদ্দা রুটে ২টি ফ্লাইট পরিচালিত হবে। ফিরতি হজের ক্ষেত্রে ৬৫টি ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালিত হবে। জেদ্দা থেকে ৫১টি ও মদিনা থেকে ১৪টি। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে বিমান ৬২ হাজার ৭৯৬ জন ও ২০১৯ সালে ৬৬ হাজার ২৮৬ হজযাত্রী পরিবহন করেছিল।

গত ৩ জুন আশকোনা হজ ক্যাম্পে চলতি বছরের হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন তিনি।

হজ ফ্লাইট কর্মসূচি দুটি অংশে ভাগ করা হয়েছে। একটি প্রাক হজ ফ্লাইট এবং আরেকটি হজ ফিরতি ফ্লাইট।

প্রাক হজ ফ্লাইট শেষ হবে ৩ জুলাই। ফিরতি ফ্লাইট আগামী ১৪ জুলাই শুরু হয়ে ১৪ আগস্ট শেষ হবে।

স্বাভাবিক সময়ে প্রতি বছর বিশ্বের ২০ থেকে ২৫ লাখ মুসল্লি পবিত্র হজ পালনের সুযোগ পেলেও করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে গত দুই বছর সৌদি আরবের বাইরের কেউ হজ করার সুযোগ পাননি।

পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় সৌদি সরকার এবার সারা বিশ্বের ১০ লাখ মানুষকে হজ পালনের অনুমতি দিচ্ছে।

বাংলাদেশ থেকে এ বছর সাড়ে ৫৭ হাজার মুসল্লি হজ পালনের সুযোগ পাচ্ছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৪ হাজার মুসল্লি।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের জন্য দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে সর্বোচ্চ প্যাকেজটি হলো ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা। সর্বনিম্নটি ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকার।

বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে জনপ্রতি ন্যূনতম খরচ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৭৪৪ টাকা নির্ধারণ করেছে হজ এজেন্সিস অফ বাংলাদেশ (হাব)।

করোনা মহামারির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে বিদেশি নাগরিকদের জন্য হজযাত্রা বন্ধ ছিল। এবার হজযাত্রা উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। এ বছর বাংলাদেশ থেকে যে ৫৭ হাজার ৫৮৫ হজযাত্রী সৌদি আরব যাবেন, তার ৫০ শতাংশ অর্থাৎ ২৮ হাজার ৭৯৩ হজযাত্রী পরিবহন করবে বিমান। তবে সরকারি প্রতিনিধিসহ ২৯ হাজার হজযাত্রী পরিবহনের পরিকল্পনা রয়েছে।

সাংবাদিকদের বয়কট

করোনা মহামারির কারণে দুই বছর পর ফের চালু হওয়া দেশের প্রথম হজ ফ্লাইটের যাত্রীদের ফুটেজ না পাওয়ায় দুই প্রতিমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন বয়কট করেন সাংবাদিকরা৷

রোববার রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এমন ঘটনা ঘটে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন।

চলতি বছরের প্রথম হজ ফ্লাইটে রোববার সকাল ৯টার দিকে ৪১০ হজযাত্রী নিয়ে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইট বিজি-৩০০১ ঢাকা ছাড়ে। দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে জেদ্দায় পৌঁছাবে তারা।

ঢাকার বিমানবন্দরে ফ্লাইট কার্যক্রমের উদ্বোধন ও প্রথম ফ্লাইটের যাত্রীদের বিদায় জানাতে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। এ লক্ষ্যে বিমানবন্দরে পূর্ব ঘোষিত ঘোষণা অনুযায়ী একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন ছিল। তবে হজযাত্রীদের ফুটেজ না পাওয়ায় সাংবাদিকরা এই সংবাদ সম্মেলন বয়কট করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বোডিং ব্রিজে যাওয়ার বিষয় নিয়ে সৌদি ইমিগ্রেশন ও সিভিল এভিয়েশনের কিছু নিষেধাজ্ঞা ছিল যার ফলে কাউকেই সেখানে যেতে দেয়া হয় নাই। ওনারা ফুটেজ পান নাই। পরবর্তীতে ওনাদেরকে বলা হয়েছে যে চারটি টিভির ক্যামেরা ও স্টিল ছবির জন্য তিনটি ক্যামেরা যাওয়ার জন্য। তবে ওনারা (সাংবাদিকরা) সিদ্ধান্তে একমত হতে পারেন নাই। তারা যান নাই। যেহেতু সবাইকে নেয়া সম্ভব হয় নাই এজন্য সাময়িক রাগে বের হয়ে চলে গেছেন।’

বোর্ডিং ব্রিজের নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘সৌদি ইমিগ্রেশনের নিষেধাজ্ঞা ছিল, আন্তর্জাতিক অডিটের ব্যাপার থাকে। এ বিষয়টি সিভিল এভিয়েশনের জুরিসডিকশন বলে যোগ করেন তিনি।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের একজন স্টাফ রিপোর্টারের সঙ্গে কথা হয় নিউজবাংলার। তিনি সকালে এই অ্যাসাইনমেন্টে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘হজযাত্রার প্রথম ফ্লাইটে যেসব হাজি হজে যাচ্ছেন, তাদের ছবিটা আমাদের দরকার ছিল। ৯টায় ফ্লাইট ছিল। অনেকেই ৭টায় বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন সংবাদ সংগ্রহের জন্য। হাজিদের ফুটেজ সংগ্রহ করার জন্য যখন গণমাধ্যমকর্মীরা অনুমতি পায় নাই। তখন কর্তৃপক্ষের কাছে তারা ফুটেজ এবং ছবি চেয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত যখন ৯টা বাজে ছবি পাওয়া যাচ্ছিল না। এ জন্যই তারা সেখান থেকে চলে এসেছেন।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনলাইনভিত্তিক মিডিয়াকর্মী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এয়ারপোর্টের ভেতরে বিমান প্রতিমন্ত্রী ও ধর্মপ্রতিমন্ত্রীর প্রোগাম হওয়ার কথা ছিল। হজযাত্রীদের ফুটেজ ছাড়া তো এই অনুষ্ঠানের টেলিভিশন প্যাকেজ করা যাবে না।’

এই গণমাধ্যমকর্মী জানান, সকালে তারা (সিআইপি) গেট দিয়ে প্রবেশ করলেও পরবর্তী আর কোথাও তাদের যেতে দেয়া হয় নাই। যার কারণে সাংবাদিকরা সংবাদ সম্মেলন বয়কট করছে- এটাই মূল বিষয়।’

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল হাসান নিউজবাংলাকে, এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘ভোররাতের পরপরই হাজিরা বোর্ডিং ব্রিজের রেড জোনে চলে গেছেন। সিকিউরিটির কারণে সব সাংবাদিককে নেয়া সম্ভব হয় নাই।’

আজকের সংবাদ সম্মেলন নিয়ে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মকর্তা সাংবাদিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে। হাজিরা বেশ ভালোভাবে নিরাপদে বাংলাদেশ ছেড়েছে বলে জানান তিনি।

ফুটেজ প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘বিটিভির নেয়া ফুটেজ ইতোমধ্যে অনেকের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর