বাজারে অব্যাহত অভিযানের ফলে চালের দাম নিম্নমুখী বলে দাবি করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
সচিবালয়ে রোববার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন দাবি করেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত সোমবার ক্যাবিনেট মিটিংয়ে এটা (ধান-চালের অবৈধ মজুতের বিরুদ্ধে অভিযান) নিয়ে আলাপ হয়। মঙ্গলবার বিকেল থেকে আমরা অভিযান শুরু করি। বুধবার থেকে অভিযান পুরোপুরি শুরু হয়। সারা দেশে একসঙ্গে সাঁড়াশি অভিযানের মতো আমাদের এটা চলছে। বুধ-বৃহস্পতিবারও অভিযান হয়েছে। শুক্র-শনিবার বন্ধের দিনেও আমাদের অভিযান চলেছে।
‘আমরা অনেক জায়গায় অনেক অবৈধ মজুত পেয়েছি। তার ব্যবস্থা হয়েছে। এই অবস্থায় বাজারে চালের দামের নিম্নগতি রয়েছে। একেবারে কন্ট্রোল হয়েছে, এ কথা আমি বলব না। আমরা কাজ করছি। এটা আমরা অব্যাহত রাখব।’
তিনি বলেন, ‘অভিযানের পর একটি বিষয় পরিলক্ষিত হচ্ছে। আসল চিত্রটা আমরা পাচ্ছি। মজুত কত আছে, অবৈধ মজুদ কত আছে, আমরা যা বলছি, সেই পরিমাণ মজুত আছে কি না। টোটাল একটা হিসাবের মধ্যেও আমরা আসতে পারছি।’
খাদ্য বিষয়ে সোমবার সরকারের সর্বোচ্চ কমিটি খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভা হবে বলেও জানান খাদ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘সেই মিটিংয়ে আমরা এ বিষয়গুলো পুরোপুরি আলোচনা করব, বাজারদর নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আর কী কী ব্যবস্থা নেয়া যায়।’
চালের দাম কবে স্বাভাবিক হবে সে সম্বন্ধে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেননি মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘চালের দাম কমতে শুরু করেছে, তবে কবে স্বাভাবিক হবে এটা সুনির্দিষ্ট করে বলা যাবে না।
‘সুনির্দিষ্টভাবে যেখানে অভিযোগ পাচ্ছি সেই সব মিলে আমরা অভিযান চালাচ্ছি। যেখানে অবৈধ মজুত নাই, সেখানেও যদি আমরা লোক পাঠাই, তাহলে বাজারে একটা ত্রাসের সৃষ্টি হবে। তারা উৎপাদন বন্ধ করে দেবে। সেদিকেও নজর রাখতে হবে।’
দেশে চালের দাম বাড়ার খবরে সম্প্রতি রাজধানীসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায় খাদ্য মন্ত্রণালয়। অভিযানে বিভিন্ন অঙ্কের অর্থ জরিমানা করা হয়।
অভিযানের মধ্যে চালের অন্যতম মোকাম কুষ্টিয়ায় মিল পর্যায়ে মিনিকেটের দাম কমেছে। কেজিতে ২ টাকা কমে ৫০ কেজির বস্তা মিলগেটে বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ১০০ টাকায়, তবে চালকলে দাম কমার প্রভাব নেই খুচরা বাজারে। ভোক্তাদের চড়া দামেই চাল কিনতে হচ্ছে।
চালকল মালিক নেতারা বলছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে। খুচরা পর্যায়ে এখনও মিলের দামের প্রভাব পড়েনি। আগে বেশি দামে কেনার দোহাই দিয়ে তারা মিনিকেট চাল ৬৭ টাকা কেজি দরেই বিক্রি করছেন।