বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লাইভে এসে স্কুলছাত্রকে মারধর, দুই আসামির বাবা আটক

  •    
  • ৫ জুন, ২০২২ ১২:৪৬

হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলম বলেন, ‘আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের দুজনের বাবাকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে একই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে রোববার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।’

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার কেতকী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী লিখনকে মারধরের ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার রাত ১১টার দিকে আসামি সিফাত হোসেনের বাবা হিরু মিয়া ও জয় মিয়ার বাবা দুলু মিয়াকে আটক করে হাতীবান্ধা থানা পুলিশ।

নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম।

তিনি বলেন, ‘আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের দুজনের বাবাকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে একই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে রোববার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।’

এর আগে আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শনিবার বেলা ১১টার দিকে পরীক্ষা বর্জন করে মানববন্ধন শেষে রাস্তা অবরোধ ও বিক্ষোভ করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা প্রায় ২ ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করে রাখে। পরে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম বেঁধে দেয়। পরে রাতে আসামিদের না পেয়ে তাদের দুজনের বাবাকে আটক করা হয়।

বৃহস্পতিবার বিকেলে বিদ্যালয়ের পেছনে থাকা একটি মাদ্রাসায় নিয়ে লিখনকে মারধর করেন সিফাত ও জয় নামের দুই যুবক। মারধরের সময় ফেসবুকে লাইভে ছিলেন মাহবুবুর রহমান নামের আরেক যুবক।

হাতীবান্ধা উপজেলার নওদাবাস ইউনিয়নের কেতকীবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র মেহেদি হাসান লিখন এখন হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

সে নিউজবাংলাকে বলে, ‘কয়েক দিন আগে সিফাত, জয়সহ কয়েকজন বহিরাগত যুবক আমাদের স্কুলে হামলা করে। বিষয়টি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন বাচ্চু বিদ্যালয় মাঠে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে আমি ও আমার কয়েকজন বন্ধু হামলাকারীদের নাম বলি।

‘বৈঠক শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পর তারা আমাকে স্কুলের পাশে মাদ্রাসার পেছনে ডেকে নিয়ে যায়। কেন তাদের নাম বললাম সে জন্য সিফাত ও জয় আমাকে লাঠি দিয়ে মারধর করতে থাকে এবং সিফাতের ফেসবুক আইডি থেকে মাহবুবুর নামের একজন লাইভ করতে থাকে। স্থানীয় লোকজন লাইভ দেখে ছুটে এসে আমাকে উদ্ধার করেন।’

এ ঘটনায় তার বাবা রাকিব হোসেন শুক্রবার রাতে হাতীবান্ধা থানায় ওই তিন যুবকের নামে মামলা করেন।

এ বিভাগের আরো খবর