বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল এলাকায় বার্ন ক্রিমের সংকট

  •    
  • ৫ জুন, ২০২২ ০৯:৩৮

সাথী মেডিক্যাল হলের ম্যানেজার বিপুল সরকার বলেন, ‘আমাদের দুই থেকে তিন শর মতো ক্রিম ছিল। এক ধাক্কায় সব চলে গেছে। আশপাশের দোকানেরও সব বিক্রি হয়ে গেছে। ক্রিমের জন্য অনেক মানুষ এসে ফিরে যাচ্ছে।’

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল এলাকার ফার্মেসিগুলোতে দেখা দিয়েছে বার্ন ক্রিমের তীব্র সংকট। এতে ব্যাহত হচ্ছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা।

কোনো ফার্মেসিতেই শনিবার রাত ৩টার পর থেকে অগ্নিদগ্ধের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ক্রিম ও ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না।

চট্টগ্রাম মেডিক্যালের নিচেই স্বপ্না মেডিক্যাল স্টোর। এর ম্যানেজার নিউটন দাস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বার্ন রোগীর চিকিৎসায় ব্যবহৃত সব ধরনের ক্রিম আমাদের ছিল। রোগী আসা শুরু হওয়ার পর থেকেই এটার সংকট দেখা দেয়। শুরুর এক ঘণ্টার মধ্যেই সব ক্রিম চলে যায়। এমনকি এখন নরমাল স্যালাইন, ব্যান্ডেজেরও সংকট দেখা দিয়েছে।’

এসব ছাড়া চোখের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধের সংকটের কথাও জানান এই ওষুধ বিক্রেতা।

হাসপাতালের গেটের সঙ্গে সাথী মেডিক্যাল হলের ম্যানেজার বিপুল সরকারও একই কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘আমাদের দুই থেকে তিন শর মতো ক্রিম ছিল। এক ধাক্কায় সব চলে গেছে। আশপাশের দোকানেরও সব বিক্রি হয়ে গেছে। ক্রিমের জন্য অনেক মানুষ এসে ফিরে যাচ্ছে।’

বার্ন ইউনিটে ভর্তি এক রোগীর জন্য রাত আড়াইটা থেকে বার্ন ক্রিম খুঁজছিলেন মো. আরেফিন।

তিনি বলেন, ‘পুরো হাসপাতাল এলাকা খুঁজেও ক্রিমটা পেলাম না।’

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান রফিক উদ্দিন আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অলমোস্ট সবাই যেহেতু বার্ন রিলেটেড সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছে, তাই এই ধরনের ক্রিমেরই প্রাথমিকভাবে প্রয়োজন ছিল। তাই তৎক্ষণাৎ একটু শর্ট পড়তে পারে।’

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুনে এখন পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ ও আহত হয়েছে দুই শতাধিক মানুষ।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, শনিবার রাত ৯টা ২৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় তারা। এরপর তাদের আটটি ইউনিট কাজ শুরু করে। কিছু পরে সেখানে যোগ দেয় আরও সাতটি ইউনিট। ভোরের দিকে আশপাশের জেলা থেকে পাঁচটিসহ ১০টি ইউনিট যোগ দেয়, তবে বিস্ফোরণ অব্যাহত থাকায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আশপাশে যেতে পারেননি দীর্ঘক্ষণ। এর সঙ্গে যোগ হয় পানির স্বল্পতা।

রাত ১১টার দিকে কনটেইনার বিস্ফোরণ শুরু হয়। এতে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে। সকাল পর্যন্ত আগুন জ্বলতে দেখা যায় ডিপোতে।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, ডিপোটির কনটেইনারে থাকা বিদেশ থেকে আমদানি করা হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডের কারণেই এমন বিস্ফোরণ ঘটেছে।

ঘটনাস্থল থেকে নিউজবাংলার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি নূর নওশাদ জানান, বিস্ফোরণের বিকট শব্দে অনেক বাসাবাড়ির জানালার কাচ ভেঙে যায়। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। ভয়ে অনেকে মালামাল সরানোর চেষ্টা করেন।

এ বিভাগের আরো খবর