চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীতে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও আগুনের ঘটনায় হতাহতদের জন্য রক্তের সংকট দেখা দিয়েছে হাসপাতালে।
পজিটিভ গ্রুপের রক্তের জোগান পাওয়া গেলেও নেগেটিভ রক্তের প্রচণ্ড সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা। এতে প্রয়োজনীয় রক্তের জোগান পেতে হাসপাতালের বাইরে নেগেটিভ রক্তের জন্য মাইকিং করছেন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা।
নেগেটিভ রক্তের জন্য হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে হ্যান্ড মাইকে মাইকিং করছেন গাউছিয়া কমিটির সদস্য রবিউল ইসলাম বাবু।
তিনি বলেন, 'হাসপাতালে ইতোমধ্যে দুই শতাধিক আহত রোগী ভর্তি হয়েছে। তাদের জন্য প্রচুর রক্তের প্রয়োজন। বিশেষ করে নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত। তাই আমরা ও নেগেটিভ, বি নেগেটিভ, এবি নেগেটিভ রক্তের জন্য মাইকিং করছি।’
হতাহতদের জন্য হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে হাসান ফার্মেসিতে বিনা মূল্যে ওষুধ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল হাসপাতালের চিকিৎসকরা এরই মধ্যে সেখানে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। সেখানেও রোগীদের চিকিৎসা দেয়া শুরু হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম শহরের সব সরকারি ও বেসরকারি চিকিৎসক এবং চট্টগ্রাম মেডিক্যালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের আগেই হাসপাতালে আসার নির্দেশ দিয়েছে জেলার সিভিল সার্জন।
রাত ৯টা ২৫ মিনিটে ডিপোতে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এরপর আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট কাজ শুরু করে। তবে কনটেইনার ডিপোতে কোনো পানির উৎস না থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আনিসুর রহমান।
আগুনে এরই মধ্যে চারজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পুলিশ।