খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) খান জাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রবীর কুমার বিশ্বাসের অপসারণের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল করেছেন স্থানীরা।
খান জাহান আলী থানার ফুলবাড়ি গেট এলাকায় শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ বিক্ষোভ হয়। ওই সময় খুলনা-যশোর মহাসড়ক অবরোধ করা হয়।
বিকেলে খান জাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এই সমাবেশে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ পাশাপাশি বক্তব্য দেয়া নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বেগ লিয়াকত আলী তার বক্তব্যে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘যোগীপোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও খুলনা মহানগর যুবলীগের আহ্বয়াক কমিটি থেকে বহিষ্কৃত সদস্য সাজ্জাদুর রহমান লিংকন। তাকে আগেই বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি আওয়ামী লীগের কেউ না।
‘লিংকন আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য ছিলেন, ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় বহিষ্কৃত হন। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করছিলাম। সেটা বাধা দেওয়ার জন্যই লিংকন তার লোকজন দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। পুলিশও তার পক্ষ নেয়।’
লিয়াকত আলী আরও বলেন, ‘লিংকন বেশি টাকার মালিক হওয়ায় পুলিশও তার কথামতো চলে। খান জাহান আলী থানার ওসি প্রবীর কুমার বিশ্বাস প্রায় লিংকনের গাড়িতে ঘুরে বেড়ায়। লিংকনের বিরুদ্ধে একধিক অভিযোগ থাকলেও পুলিশ আমলে নেয় না।’
তিনি বলেন, ‘আজকের আনুষ্ঠানে বাধা পাওয়ার পরে স্থানীয়রা ফুঁসে উঠেছে। তারা লিংকনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াসহ ওসিকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে।’
পরে ঘটনাস্থলে যান কেএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শাহবুদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘খান জাহান আলী থানার ওসি বিরুদ্ধে আপনারা যেসব অভিযোগ তুলেছেন, তা কেএমপি কমিশনার মাসুদুর রহমান ভুঞাকে জানানো হয়েছে। তিনি বলেছেন, আগামীকাল থানা থেকে ওসিকে অপসারণ করে নেয়া হবে।’
লিংকন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি স্বচ্ছতার সঙ্গে যোগীপোলবাসীকে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। আমার জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে।
‘আমি কোনো ব্যক্তিকে আটকে রাখিনি। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীরা লিপ্ত হয়েছে।’
অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে ওসি প্রবীর কুমারের মুঠোফোনে একাধিক কল করা হলেও তার নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। মেসেজ পাঠিয়েও উত্তর পাওয়া যায়নি।