বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এক লাখ মসজিদভিত্তিক মক্তব হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী

  •    
  • ৪ জুন, ২০২২ ২২:৩৬

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ক্ষমতায় থাকাকালে খালেদা জিয়া আলেম-ওলামাদের ডেকে নিয়ে ভাত খাওয়াতেন, কিন্তু দাবি পূরণ করেননি। জননেত্রী শেখ হাসিনা কওমি সনদের স্বীকৃতি দিলেন। তিনি শুধু সনদের স্বীকৃতি দেননি, তাদের চাকরিও দিয়েছেন। তারা এখন সরকারি বেতন পাচ্ছেন। এটি কল্পনার বাইরে ছিল।’

আওয়ামী লীগ সরকার ইসলামের জন্য যা করেছে, অতীতে কেউ তা করেনি বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা অডিটোরিয়ামে শনিবার দুপুরে বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক ও আলেমদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আলেম-ওলামাদের শত বছরের পুরোনো দাবি ছিল বাংলাদেশে একটি স্বতন্ত্র ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার। ব্রিটিশ ভেঙে পাকিস্তান, এরপর বাংলাদেশ হয়েছে, তবে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় হয়নি। জামায়াতকে নিয়ে বিএনপি সরকার গঠন করল, এরশাদ সাহেব মাওলানা মান্নানকে ধর্মমন্ত্রী করলেন, তাতেও কিছু হয়নি। অবশেষে শেখ হাসিনার সরকার এ বিশ্ববিদ্যালয় করেছে।

‘কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতির দাবি ছিল অনেক পুরোনো। ক্ষমতায় থাকাকালে খালেদা জিয়া আলেম-ওলামাদের ডেকে নিয়ে ভাত খাওয়াতেন, কিন্তু দাবি পূরণ করেননি। মাওলানা আহমদ সফি সাহেব প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এ দাবি তুললেন। আর জননেত্রী শেখ হাসিনা কওমি সনদের স্বীকৃতি দিলেন। আমাদের নেত্রী শুধু কওমি সনদের স্বীকৃতি দেননি, তাদের চাকরিও দিয়েছেন। তারা এখন সরকারি বেতন পাচ্ছেন। এটি কল্পনার বাইরে ছিল।’

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সারা দেশে এক লাখ মসজিদভিত্তিক মক্তব করা হয়েছে। শুধু রাঙ্গুনিয়াতেই দুই শতাধিক মসজিদভিত্তিক মক্তব হয়েছে। প্রতিটি মক্তবের আলেম ৫ হাজার ২০০ টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। এটি আলেম সমাজ কখনও ভাবেনি। দারুল আরকাম এবতেদায়ি মাদ্রাসার প্রতিটিতে দুজন করে শিক্ষক ১২ হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। ৫৬০টি মডেল মসজিদ করা হয়েছে। পাকিস্তান আমলেও জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সরকারিভাবে এমন মসজিদ হয়নি।’

আলেমদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার ইসলামের জন্য এবং আলেম-ওলামাদের জন্য যে কাজগুলো করেছে, তা আপনারা অন্যদের কাছে বলবেন। আপনাদের কাছে এটুকুই ফরিয়াদ থাকল।’

নিজের নির্বাচনি এলাকা রাঙ্গুনিয়ায় মসজিদ, মক্তবসহ ইসলামের খেদমতে নানা কাজের উদাহরণ তুলে ধরেন তথ্যমন্ত্রী।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি লোকমানুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে ধর্মবিষয়ক সম্পাদক জসিম উদ্দিন তালুকদার এ সভা সঞ্চালনা করেন।

রাঙ্গুনিয়ার বেতাগী দরবার-এ-আস্তানা শরিফের পির গোলামুর রহমান আশরাফ শাহ, মেহেরিয়া মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা আনাস মাদানী, উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, ইউএনও আতাউল গণি ওসমানি, পৌরসভার মেয়র শাহজাহান সিকদার, ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিছ আজগর, ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, মাওলানা নজমুল হক নঈমী, ড. মাওলানা আবদুল মাবুদ, মাওলানা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, মাওলানা নজরুল ইসলাম আলকাদেরী, মাওলানা মো. সুলতান, মাওলানা আবদুল কাদের, মাওলানা গোলাম কিবরিয়া, মাওলানা সৈয়দ আইয়ুব নুরী, মাওলানা গোলাম কিবরিয়া সভায় উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর