রাজধানীর কদমতলীর জুরাইন এলাকায় গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত মদ্যপানে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন ২৩ বছরের মনির হোসেন। শুক্রবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গত বৃহস্পতিবার কদমতলীর পূর্ব-জুরাইন আলমবাগ এলাকায় গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন মনির। সেখানে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে বসে মদ্যপান করেন।
তার বন্ধু রাশেদুল ইসলাম রাশেদ বলেন, ‘আমরা আটজন বন্ধু মিলে বৃহস্পতিবার রাতে এলাকার ছোট ভাইয়ের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান যাই। সেখানে খাওয়া-দাওয়া শেষে রাতে একত্রে মদ্যপান করি। অনুষ্ঠান শেষে আমরা যার যার বাড়িতে চলে যাই। কিন্তু এই মদে আমাদের কোন সমস্যা হয়নি, আমার বন্ধুর এমনটা কেন হলো বুঝে উঠতে পারছি না।’
মনির হোসেনের মা মনি বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে বৃহস্পতিবার দিন সন্ধ্যায় কর্মস্থল থেকে বাসায় এসে বলে মা আমার আসতে দেরি হবে, আমি এলাকার একটি গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে যাব। পরে মধ্যরাতে বাসায় আসে এরপর ঘুমিয়ে পড়ে।
‘শুক্রবার সকাল থেকে বমি আরম্ভ হয়, অনেক চেষ্টা করেও বমি থামানো যায়নি, পরে স্থানীয় বেসরকারি ইউনিকেয়ার হাসপাতালের নিয়ে যাই, সেখানে শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন না আসায় তাকে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসার পর আমার ছেলে মনিরকে চিকিৎসক মৃত বলে জানান।’
তিনি জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে। বর্তমানে কদমতলী পূর্ব-জুরাইন মদিনা মসজিদ সংলগ্ন একটি বাসায় সপরিবারে থাকেন
মনির হোসেন নবাবপুর রোডে একটি ইলেকট্রিক দোকানে কর্মরত ছিলেন। এক ভাই, এক বোনের মধ্যে মনির বড়।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘কদমতলী এলাকা থেকে এক যুবককে অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসার পর সন্ধ্যার দিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার সাথের বন্ধুবান্ধবরা জানান তারা একত্রে মদ্যপান করেছিলেন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি কদমতলী থানায় জানানো হয়েছে।’