দেশে শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ ও মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতিকে স্বীকৃতি দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসিতে হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সিপাল ডেপুটি ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার জন ফিনারের সঙ্গে এক সাক্ষাতে এ আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত ও শিল্প উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সহকারী এবং বাইডেন প্রশাসনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা ফিনার সুশাসন, শ্রম খাত ও মানবাধিকার ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানও একই ধরনের আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘শ্রমিকদের উন্নত কর্মপরিবেশ ও মানবাধিকার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের ধারাবাহিক পদক্ষেপগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য উন্নয়ন সহযোগীদের স্বীকৃতি দেয়া উচিত।’
দুপক্ষের আলোচনায় সাম্প্রতিক সময়ে র্যাব ও এর কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার ওপর আরোপ করা যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টিও উঠে আসে। সালমান এফ রহমান যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে এই নিষেধাজ্ঞা যত দ্রুত সম্ভব প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরীর যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানের বিষয়ে ফিনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং তাকে দ্রুত বাংলাদেশের কাছে প্রত্যর্পণে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা কামনা করেন।
সালমান এফ রহমান গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আর্থসামাজিক খাত ও মানব উন্নয়নে বাংলাদেশের অবিস্মরণীয় সাফল্য ফিনারের কাছে তুলে ধরেন এবং এ সময়কালে সহযোগিতা অব্যাহত রাখায় যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা ও রাজনৈতিক সমর্থনের জন্যও তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান।
জন ফিনার সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের অসাধারণ অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।