উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলকভাবে বাতি জ্বালানো হয়েছে।মুন্সীগঞ্জের মাওয়া অংশে শনিবার বিকেলে মোট ২৪টি বাতি জ্বালানো হয়।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘বিকেল ৫টা ৩৫ মিনিটের দিকে মূল সেতুর ২ ও ৩ নম্বর মডিউলের ১২-১৯ নম্বর পিলারের ছয়টি বাতি প্রথমে জ্বালানো হয়। পরে জ্বালানো হয় আরও ১৮টি বাতি। ধারাবাহিকভাবে অন্য সড়কবাতিগুলোও জ্বালানো হবে।’আগামী ২৫ জুন উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু। সেতুতে ল্যাম্প পোস্ট রয়েছে ৪১৫টি। এ ছাড়া সংযোগ সড়কে বসেছে ২০০টি ল্যাম্প পোস্ট। এসব ল্যাম্প পোস্টে বসে গেছে বৈদ্যুতিক বাতি। শেষ মুহূর্তে এখন চলছে বৈদ্যুতিক তার সংযোগের কাজ। সেতুর দুই প্রান্তের সাবস্টেশন থেকে এসব ল্যাম্প পোস্টে দেয়া হবে বিদ্যুৎ সংযোগ।
পদ্মা সেতুতে যান চলাচলের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত করতে শেষ মুহূর্তে চলছে রোড মার্কিংয়ের কাজ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ১৫ জুনের মধ্যে শতভাগ কাজ শেষ হবে।
প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের জানান, মে মাসের ১৮ তারিখ থেকে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার পদ্মা সেতুর সড়কের মার্কিংয়ের কাজ শুরু হয়। গত ১৫ দিনে মার্কিংয়ের কাজ এগিয়েছে ৭০ শতাংশ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে পাঁচ থেকে ছয় দিনের মধ্যে কাজ পুরোপুরি শেষ করা সম্ভব হবে। তখন সেতুর এই সড়কটি যানবাহন চলাচলের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে যাবে।এ ছাড়া সেতুর পেইন্টিং, রেলিং ও ট্রাফিক সংকেত বসানোর কাজ রয়েছে শেষ পর্যায়ে। সেতুর ৪১৫টি ল্যাম্প পোস্টে এখন বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হচ্ছে। শনিবার পর্যন্ত ল্যাম্প পোস্ট বসানোর কাজের অগ্রগতি ৯৫ শতাংশ। সব মিলিয়ে মূল সেতুর কাজ এগিয়েছে ৯৯ শতাংশের বেশি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ১৫ জুনের মধ্যে সেতু উদ্বোধনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে যাবে।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে উৎসবের আমেজ বইছে পদ্মাপারের জেলাগুলোয়। সেতু ঘিরে মাদারীপুর, শরীয়তপুরসহ বিভিন্ন জেলার মানুষ অর্থনৈতিক মুক্তির পথ দেখছেন। গ্রাম-গঞ্জের চায়ের দোকান থেকে অফিসপাড়া সব জায়গায়ই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে পদ্মা সেতু। জমকালো উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ী ফেরিঘাট এলাকাকে।