কুষ্টিয়ায় বাঁশগ্রাম আলাউদ্দীন আহম্মেদ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক তোফাজ্জেল হোসেনের কবজি বিচ্ছিন্নের ঘটনায় করা মামলার সাত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
কুষ্টিয়া র্যাব কার্যালয়ে শনিবার বেলা ১১টায় সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, মামলার আসামিদের ধরতে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। শুক্রবার রাতে র্যাব-১২ ও র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সম্মিলিত অভিযানে বিভিন্ন স্থান থেকে সাত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার সবাই ওই শিক্ষকের গ্রাম কুমারখালী উপজেলার শালঘর মধুয়া গ্রামের বাসিন্দা। তারা হলেন মশারফ হোসেন মশা, নাজিম উদ্দিন, মো. সামাদ, মুহাইমেন হোসেন, আব্দুল হালিম, মো. পলাশ ও মুকুল হোসেন।
র্যাব কমান্ডার বলেন, গ্রেপ্তারের সময় পলাশের কাছ থেকে তিনটি গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল জব্দ করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
গত ৩১ মে দুপুরে বংশীতলা এলাকায় ওঁৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তার ডান হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এ ছাড়া তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসায় তোফাজ্জেলের কবজি জোড়া দেয়া সম্ভব হয়নি। তিনি এখনও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ঘটনার পরদিন তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে নাজমুছ সাকিব কুষ্টিয়া মডেল খানায় ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
র্যাব জানায়, নিজ এলাকার আধিপত্য বিস্তার ও জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। গ্রেপ্তার চারজন ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।