পরিবেশ ধ্বংসে জড়িত জনপ্রতিনিধিদের পদ থেকে অপসারণসহ প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় ১০ দফা দাবি জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে শনিবার বিশ্ব পরিবেশ দিবসকে সামনে রেখে আলোচনা সভায় এ দাবি জানায় সংস্থাটি।
‘পৃথিবী একটাই’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রোববার পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে উদযাপন করা হবে বিশ্ব পরিবেশ দিবস।
১০ দাবি
এইচআরপিবির প্রেসিডেন্ট ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ আলোচনায় দাবিগুলো তুলে ধরেন।
১. পরিবেশবিধ্বংসী কাজে জড়িত জনপ্রতিনিধিকে পদ থেকে অপসারণ এবং নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার আইন প্রণয়ন করতে হবে।
২. জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে শক্তিশালী করে ক্ষমতায়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং কমিশনকে সরাসরি ক্যাবিনেটের আওতায় পরিচালনা করতে হবে।
৩. সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা, উপজেলায় প্রকৃতি ও পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে (প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়া) সংশ্লিষ্ট এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত দায়বদ্ধ করার আইন পাস করতে হবে।
৪. পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকবল বৃদ্ধি, সব জেলায় পর্যাপ্ত লোকবলসহ অফিস স্থাপন এবং পরিবেশ রক্ষার কাজে প্রয়োজনীয় আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে।
৫. নদীর পাশে যেকোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হলে আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুসারে সিএস রেকর্ড অনুযায়ী নদীর সীমানা নির্ধারণ করতে হবে। একই সঙ্গে তা সংরক্ষণ করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।
৬. পরিবেশের ক্ষতি করার কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানার সংস্কৃতি বন্ধ করে আইন অনুযায়ী সাজা নিশ্চিত করতে হবে। সাজাপ্রাপ্ত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির প্রতিষ্ঠান তাৎক্ষণিক সাময়িক বন্ধ ঘোষণার আইন প্রণয়ন করতে হবে।
৭. পরিবেশ সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডে যুক্ত সব বিভাগে দক্ষ, সৎ, যোগ্য, প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং পরিবেশ নিয়ে পড়াশোনা করা ব্যক্তিদের নিয়োগ করতে হবে।
৮. পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের বাজেট তিন গুণ বাড়িয়ে প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।
৯. পরিবেশ রক্ষায় কাজ করা পরিবেশবাদী আইনজীবী, সাংবাদিক ও সব ব্যক্তির সুরক্ষা প্রশাসনিকভাবে নিশ্চিত করতে হবে।
১০. পরিবেশ রক্ষায় দক্ষ ও কার্যকর প্রশাসন গঠনে ‘পরিবেশ ইনস্টিটিউট’ গঠন এবং দেশ-বিদেশের পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের সে কাজে সম্পৃক্তির ব্যবস্থা নিতে হবে।