বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মহাসড়কে ডাকাতি: ঠান্ডা-শামীম বাহিনীর ১১ জন গ্রেপ্তার

  •    
  • ৪ জুন, ২০২২ ১৩:১৮

র‌্যাব জানায়, ঠান্ডা-শামীম বাহিনীর সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় গৃহডাকাতি, সড়কে ডাকাতি, গাছ কেটে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে যাত্রীবাহী বাস, গরুবাহী ট্রাক, মালবাহী ট্রাক ও বিভিন্ন মালামালের গুদামে ডাকাতি করে আসছেন।

ঢাকার সাভারের বলিয়ারপুর থেকে ডাকাত দল ‘ঠান্ডা-শামীম বাহিনী’র ১১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব সদরদপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-৩-এর আভিযানিক দল শুক্রবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার ১১ জন হলেন ঠান্ডা শামীম বাহিনীর হোতা মো. শামীম ওরফে সব্দুল, আনিসুর রহমান ওরফে ঠান্ডা, মো. সালাউদ্দিন, ইখতিয়ার উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর সরকার, সজিব ইসলাম, জীবন সরকার, স্বপন চন্দ্র রায়, মিনহাজুর ইসলাম ও মাধব চন্দ্র সরকার।

তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি পাইপগান, দুটি ওয়ান শুটারগান, ছয়টি গুলি, একটি ম্যাগাজিনসহ ডাকাতির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

যেভাবে মহাসড়কে ডাকাতি

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে শনিবার দুপুরে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে গ্রেপ্তার নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ঠান্ডা-শামীম বাহিনীর হোতা শামীম। বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড আনিসুর ওরফে ঠান্ডা। তাদের নাম অনুসারে এই বাহিনীর নাম রাখা হয় ঠান্ডা-শামীম বাহিনী।

তিনি বলেন, বাহিনীর সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় গৃহডাকাতি, সড়কে ডাকাতি, গাছ কেটে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে যাত্রীবাহী বাস, গরুবাহী ট্রাক, মালবাহী ট্রাক ও বিভিন্ন মালামালের গুদামে ডাকাতি করে আসছেন।

র‌্যাবের কর্মকর্তা জানান, ঠান্ডা-শামীম বাহিনীর সদস্যরা অন্ধকার রাস্তায় ওত পেতে থাকতেন। ডাকাতি করার জন্য নির্ধারিত স্থানের কাছাকাছি স্টেশনে ডাকাত দলের সদস্যরা টার্গেটকৃত বাস-ট্রাক-মাইক্রোবাস সম্পর্কে সংকেত দিতেন। এ ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গতিবিধির ওপর নজরদারি করে মূল ডাকাত দলের কাছে তথ্য সরবরাহ করতেন।

অনুকূল সংকেত পাওয়ামাত্রই ডাকাত দলের মধ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যরা দ্রুত গাছ কেটে রাস্তায় ফেলে দিতেন। অন্যদিকে ডাকাত দলের অপর সদস্যরা বাস-ট্রাক-মাইক্রোবাসের চালক ও যাত্রীদের অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব লুট করতেন।

র‌্যাব জানায়, যেখানে গাছ কাটার সুযোগ থাকে না, সেখানে ঠান্ডা-শামীম বাহিনীর সদস্যরা চালকের চোখে আলো ফেলে গাড়ি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডাকাতি করেন। ডাকাতির ঘটনায় শামীম ও ঠান্ডা একাধিকবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন। জেলহাজতে থাকার সময় তাদের দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন অপরাধীদের সঙ্গে সখ্য গড়ে উঠে।

পরবর্তী সময়ে জামিনে বের হয়ে তারা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে এই ডাকাত বাহিনী গড়ে তোলেন। তাদের বাহিনীর সদস্য ২৫ জন। এ ছাড়াও তারা যে এলাকায় ডাকাতি করার পরিকল্পনা করেন, ওই এলাকার স্থানীয় অপরাধী, ডাকাত, মাদক কারবারি, পরিবহন শ্রমিক, গোডাউনের কর্মচারী, নৈশপ্রহরীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে ডাকাতির পরিকল্পনা করেন। ডাকাতিই তাদের মূল পেশা।

কোন কোন এলাকায় ডাকাতি

র‌্যাবের কমান্ডার আল মঈন জানান, ঠান্ডা-শামীম বাহিনী এরই মধ্যে গাইবান্ধা, জয়পুরহাট, বগুড়া, মানিকগঞ্জ, সাভার, গাজীপুর, টাঙ্গাইল এলাকায় অনেক ডাকাতি করেছেন। ডাকাতির মালের অর্ধেক আনিসুর এবং শামীম ভাগাভাগি করে নিতেন। বাকি অর্ধেক মাল কাজের গুরুত্ব অনুযায়ী অন্যদের ভাগ করে দেয়া হতো। ডাকাতি থেকে পাওয়া সম্পদ ভোগ বিলাস ও মামলার খরচ মেটাতে ব্যয় হতো।

র‌্যাব জানায়, গ্রেপ্তার ১১ জন সম্প্রতি বগুড়ার শেরপুর এলাকার মহাসড়কে ডাকাতির কথা স্বীকার করেন। তারা সাভারের হেমায়েতপুরে একটি ব্যাটারির কারখানায় ডাকাতির পরিকল্পনা করেছিলেন, কিন্তু পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগেই গ্রেপ্তার হন।

র‌্যাব আরও জানায়, শামীমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতির সাতটি মামলা রয়েছে। ঠান্ডার বিরুদ্ধে ডাকাতি, মাদক ও বিভিন্ন অপরাধের ৫টি মামলা আছে।

এ বিভাগের আরো খবর