শেরপুরের শ্রীবরদীতে কিশোরের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়নের মধ্য রানীশিমুল গ্রাম থেকে শনিবার ভোরে এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃত ১৪ বছরের এরশাদ মিয়া রানীশিমুল গ্রামের সামিউল হকের ছেলে।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস।
পরিবারের বরাতে ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘কয়েক দিন থেকে এরশাদ ও তার বড় ভাই জিয়াউল হকের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলছিল। এরই জেরে শুক্রবার রাতে তাদের কথা-কাটাকাটি হয়। তিনি ওই রাতের কোনো একসময় ঘরের পাশে গাছের ডালে গলায় রশি বেঁধে আত্মহত্যা করেন। ভোররাতে পরিবারের লোকজন তাকে ঝুলতে দেখে পুলিশকে জানায়। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
মৃতের মা শান্তি খাতুন বলেন, ‘রাতে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে অভিমান করে এরশাদ গলায় রশি বেঁধে গাছের ডালের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।’
ওসি বলেন, এ ঘটনার তদন্ত চলছে। আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।