লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে বাস থেকে নামিয়ে তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। ঘটনার পর শুক্রবার রাতে আটক বাসের হেলপার আজাদ উদ্দিনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে শনিবার সকালে রামগঞ্জ থানায় মামলাটি করেছেন ভুক্তভোগী তরুণী।
আসামি করা হয়েছে বাসের হেলপার আজাদ উদ্দিন, উপজেলার কাজিরখীল এলাকার এমরান হোসেন এবং অজ্ঞাত পরিচয় একজনকে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গ্রেপ্তার আজাদকে আদালতে তোলে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। এছাড়া ভুক্তভোগী তরুণীকে তার মামার জিম্মায় দেয়া হয়েছে।’
তরুণীর বরাতে তিনি জানান, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে চাটখিল থেকে মাইজদীর সোনাপুর যাওয়ার জন্য জননী নামের একটি বাসে ওঠেন ওই তরুণী। কিন্তু বাসটি তাকে রামগঞ্জের সোনাপুর এলাকায় নামিয়ে দিলে তিনি জানতে পারেন অন্য বাসে ওঠেছেন। বিষয়টি বাসের হেলপার আজাদকে বললে তিনিসহ চালক তরুণীকে মাইজদী সোনাপুরের বাসে তুলে দিবেন বলে বাসে বসতে বলেন।
এর কিছুক্ষণ পরই স্থানীয় এমরান হোসেন ও তার দুই সহযোগী বাসে অপেক্ষমাণ তরুণীকে জোর করে বাস থেকে নামিয়ে নিয়ে যান। টার্মিনালের পেছনে টয়লেটের পাশে নিয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন তারা।
এসময় বিষয়টি টের পেয়ে ঘটনাস্থল সংলগ্ন বাজারের নৈশপ্রহরী শাহজাহান মিয়াসহ আরও কয়েকজন এগিয়ে আসলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যান। সেখানে মাথা ঘুরে পড়ে যান শাহজাহান মিয়া। উদ্ধার করে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা গুনময় পোদ্দার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শাহাজাহান মিয়াকে হাসপাতালে আনার আগেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।’