শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ের একটি এলাকায় মরে পড়েছিল হাতিটি। শরীরজুড়ে আঘাতের অসংখ্য চিহ্ন।
বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার দিকে গারো পাহাড়ের গজনী অবকাশ কেন্দ্রের বেরবেরি নামক এলাকা থেকে বন্য ওই পুরুষ হাতিটির মরদেহ উদ্ধার করেছে বনবিভাগ।
ধারণা করা হচ্ছে, আঘাতের ফলেই দুয়েকদিন আগে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রাণী সম্পদ চিকিৎসক সাদিয়া আফরিন বলেন, ‘হাতিটার বয়স ১৫ থেকে ২০ বছর হতে পারে। আঘাতজনিত কারণেই এর মৃত্যু হয়েছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও এর দাঁতও ভেঙে নেয়া হয়েছে।’
এ নিয়ে গত ৬ মাসে গারো পাহাড়ে ৫টি হাতির মৃত্যু হয়েছে। আর বিগত ২৭ বছরের হিসেবে ওই এলাকায় অর্ধশতাধিক হাতির মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে বনবিভাগের একটি সূত্র।
সর্বশেষ মৃত হাতিটি উদ্ধারের বিষয়ে প্রকৃতি ও পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মেরাজ উদ্দিন বলেন, ‘এই হাতিটাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এই হত্যার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি চাই।’
তিনি জানান, গারো পাহাড়ে একের পর এক হাতিকে নানা উপায়ে হত্যা করা হলেও এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। এ ছাড়া শুধুমাত্র একটি হাতি হত্যায় মামলা হলেও বাকিগুলোর বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এজন্যই গারো পাহাড়ে হাতি হত্যা থামছে না বলে দাবি করেন তিনি।
ঝিনাইগাতীর রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মকরোল ইসলাম হাতি মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা বিষয়টির খোঁজ খবর নিচ্ছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেব।’