ভোলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলার ২৫টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে সাত পরীক্ষার্থীকে প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগের সব পরীক্ষা থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার ও ১০ দিন করে জেল প্রদান করা হয়েছে।
অভিযুক্ত সবার বিরুদ্ধেই পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন ও ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের অভিযোগ ছিল। এদের মধ্যে পশ্চিম বাপ্তা আদর্শ স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র থেকে ওমর ফারুক, মো. সোহাগ, হাবিবুর রহমান; ভোলা সরকারি কলেজ থেকে আকলিমা বেগম; ঘুইংগার হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মো. হাসান; ইলিশা ইউসি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে আল মাহামুদ ও মনির হাওলাদারকে আটক করা হয়।
ইলিশা ইউসি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার জাবেদ হোসেন চৌধুরী বহিষ্কারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি কেন্দ্রে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তবে পরীক্ষার হলে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করায় ইলিশা ইউসি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে দুজনসহ মোট সাতজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের আটক করা হয় বলেও জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এদিকে নাঈম, যুবায়ের নামে দুই পরীক্ষার্থীসহ আরও অনেকেই দাবি করেছেন, তৃতীয় ধাপের প্রশ্ন একেবারে সহজ নয়, আবার কঠিনও নয়। বিগত দুই ধাপের মতোই হয়েছে।
তবে পরীক্ষার হলে অনেক অসংগতি ছিল বলেও জানান তারা। তাদের অভিযোগ, ঘড়ি ব্যবহার করতে না দেয়ায় অনেক শিক্ষার্থী পরীক্ষার হলে সময়মতো উত্তর দিতে পারেননি। গার্ড দেয়া শিক্ষকদের অনেকেই নির্ধারিত সময়ের আগে পরীক্ষার্থীদের খাতা টেনে নিয়ে গেছেন।
জেলায় তৃতীয় ধাপের ২৪৪টি সহকারী শিক্ষক পদের বিপরীতে ২৫টি কেন্দ্রে ১৫ হাজার ৬৩৭ জন পরীক্ষায় অংশ নিতে নিবন্ধন করেছিলেন।