নওগাঁয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস চক্রের হোতা মেহেদী হাসানের স্ত্রী শিক্ষিকা কনা খাতুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই সঙ্গে গ্রেপ্তার হয়েছেন সাত পরীক্ষার্থী।
কনাকে শুক্রবার বিকেলে নওগাঁর আমলি আদালতে নিলে শুনানি শেষে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আর সাত পরীক্ষার্থীকে এক মাস করে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
বিকেলে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা চলার সময় দুপুর ১২টার দিকে অভিযানে নামে এনএসআই ও ডিবি পুলিশ। অভিযান চালিয়ে তারা সদর উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের মুক্তারপাড়া গ্রামের দেওয়াপাড়া থেকে কনা খাতুনকে গ্রেপ্তার করে।
কনা খাতুন বদলগাছী উপজেলার রামশাহাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। তিনি নওগাঁ শহরের কোমাইগাড়ী মহল্লায় ভাড়া বাসায় থাকেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিকসহ বিভিন্ন শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের বিষয়টি এনএসআই জানতে পেরে চক্রের হোতা মেহেদী হাসান ও তার স্ত্রী কনা খাতুনসহ পরীক্ষার্থীদের ওপর নজরদারি শুরু করে। দুপুরে কনা খাতুনকে মুক্তারপাড়া গ্রামের দেওয়াপাড়ায় তার বাবার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরীক্ষাচলাকালে শহরের বিভিন্ন কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় সাত জনকে। এর মধ্যে বিএমসি মহিলা কলেজ কেন্দ্র থেকে চারজন, জনকল্যাণ মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে একজন, সেন্ট্রাল গার্লস স্কুল কেন্দ্র থেকে একজন ও পিএম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে একজন।
তাদের কাছ থেকে আটটি মোবাইল জব্দ করা হয়। প্রশ্ন ফাঁসের হোতা মেহেদী হাসান এখনও আটক করা যায়নি।
গ্রেপ্তার পরীক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে এক মাসের বিনাশ্রম দণ্ড দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাবরিনা আক্তার।
নওগাঁ জেলা ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. বদরুদ্দৌজা জানান, শিক্ষিকা কনা খাতুনের বিরুদ্ধে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।