ফরিদপুরের নগরকান্দায় দুই ছাত্র চাইনিজ কুড়াল ও চাকু নিয়ে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
চরযশোরদি ইউনিয়নের বানেশ্বরদী উচ্চ বিদ্যালয়ে বুধবার এ ঘটনা ঘটলেও ওই দুই ছাত্রের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে ছেড়ে দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার বিষয়টি জানাজানি হলে স্বীকার করেন প্রধান শিক্ষক।
ঘটনাটি ঘটে দশম শ্রেণির ক্লাসরুমে।
সে সময় ক্লাসে ছিল ছাত্র মো. হাবিব। সে নিউজবাংলাকে জানায়, সকালে ক্লাস শুরু হলে ক্লাসের আরেকজন ওই দুই ছাত্রের ব্যাগে দুটি চাইনিজ কুড়াল ও দুটি চাকু দেখে। সে গিয়ে বিষয়টি সহকারী শিক্ষক রুমেল খন্দকারকে জানায়। সহকারী শিক্ষক ওই দুজনকে ডেকে প্রধান শিক্ষকের রুমে নিয়ে অস্ত্রগুলো জব্দ করেন।
ওই দুই ছাত্রের বাড়ি পাশের গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের লোহাইড়-বনগ্রাম গ্রামে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন অভিভাবক জানান, প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমান ও সহকারী শিক্ষক রুমেল খন্দকার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা প্রশাসনকে না জানিয়েই ছেলে দুটিকে ছেড়ে দেন। কারণ তারা প্রধান শিক্ষকের নিকটাত্মীয়।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে শুক্রবার প্রধান শিক্ষক মজিবুর বলেন, ‘ঘটনাটি স্থানীয়রা সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা করেছেন। আমি পরদিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি।’
সহকারী শিক্ষক রুমেল খন্দকার বলেন, ‘অস্ত্রগুলো প্রধান শিক্ষকের কাছে জমা দেয়া আছে। ওই ছাত্রদের পরিবারকেও জানানো হয়েছে।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফজলুল হক বলেন, ‘আমাকে প্রধান শিক্ষক ঘটনার পরের দিন বিষয়টি জানিয়েছেন। বিষয়টি তারা মিটিং ডেকে সমাধান করতে চেয়েছেন।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এন এম আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি এবং সংশ্লিষ্টদের তদন্তের জন্য বলেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’