মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় যশোরের বাঘারপাড়ার আমজাদ মোল্লার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়ে বিপাকে পড়েছেন ছয় ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। দফায় দফায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় প্রতি মুহূর্তে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
শুক্রবার দুপুরে যশোর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তারা এ কথা জানান।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যশোরের সভাপতি হারুনর অর রশিদ।
তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালের ২৫ এপ্রিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আমজাদ হোসেন মোল্লার বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করে। এ মামলায় আমজাদ মোল্লার বিরুদ্ধে তার গ্রাম ও আশপাশের এলাকার ছয়জন সাক্ষ্য দেন। পরে আমজাদ মোল্লার পক্ষে বাঘারপাড়ার চিহ্নিত সন্ত্রাসী তরিকুল আনোয়ার টুটুলের নেতৃত্বে সাক্ষী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর দফায় দফায় হামলার ঘটনা ঘটে।’
তিনি বলেন, ‘এসব ঘটনায় একাধিক মামলা হলেও সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেনি প্রশাসন। সর্বশেষ ভুয়া মামলায় ছয় সাক্ষীকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন সন্ত্রাসী তরিকুল। আমরা ছয় সাক্ষীর সুরক্ষার দাবি জানাই।’
এ বিষয়ে বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ উদ্দিন বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাঘারপাড়ার প্রেমচারা এলাকায় অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে। তারা সার্বক্ষণিক সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিয়োজিত রয়েছে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে বাঘারপাড়ার তরিকুল আনোয়ার টুটুলের মোবাইল নাম্বারে কয়েক দফা কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আমজাদের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষী আলাউদ্দিন বিশ্বাস, রুহুল আমিন, ইসহাক মোল্লা, আব্দুল হক মোল্লা, ওলিয়ার রহমান, খলিলুর রহমান খোকন বিশ্বাস, যশোর সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আফজাল হোসেন দোদুল ও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যশোরের সাধারণ সম্পাদক সাজেদ রহমান।