বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের এজেন্ট হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘তিনি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা না। তার কার্যকলাপ যদি বিশ্লেষণ করি, ১৯৭৫ পর্যন্ত যে কার্যকলাপ চালিয়েছেন পরিষ্কারভাবে তিনি আইএসআইয়ের এজেন্ট হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।’
আইএসআই প্রেসক্রিপশনে বিএনপির জন্ম বলে মন্তব্য করেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের অসৌজন্যমূলক মন্তব্যের প্রতিবাদে শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ সমাবেশে কামরুল ইসলাম এমন মন্তব্য করেন।
বিএনপি কোনো দিনই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সেনা ছাউনিতে যে দলটির জন্ম, সেই দলটি কোনো অবস্থায় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতে পারে না। আন্তর্জাতিকভাবে সেটি সন্ত্রাসী দল।’
বিএনপি স্বাভাবিক কর্মসূচি চালানোর যে চেষ্টা করে, এটা তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে প্রবেশের একটা মহড়া বলে মনে করেন তিনি। বলেন, “আজ তারা স্লোগান দিচ্ছে ‘৭৫-এর হাতিয়ার গর্জে ওঠো আরেকবার’। এই স্লোগান দিয়ে তারা ক্রমান্বয়ে সন্ত্রাসের দিকে যাবে। সেই পুরোনো কায়দায় তারা সন্ত্রাসের দিকে যাবে। তার একটা মহড়া এখন দিচ্ছে।’
তাদের প্রতিহত করতে দলের সবাইকে প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে। পরিষ্কার কথা।’
বিএনপি নির্বাচন বর্জনের কথা বলে ধূম্রজাল তৈরি করার চেষ্টা করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘তারা নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, তাদের কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না। নির্বাচন হবে, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের আয়োজন করবে এবং নির্বাচনকালীন সরকারের নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’