ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা শিক্ষার্থীদের ফুল দিতে প্রায় এক সপ্তাহ পর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসেছে ছাত্রদল।
যদিও ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান বলেছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে হলে ছাত্রদলকে তাদের দেয়া বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে।
তবে কার কাছে এবং কেন ক্ষমা চাইতে হবে সেটি পরিষ্কার নয় বলে জানিয়েছেন ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য সচিব আমানুল্লাহ আমান।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগের সামনে শুক্রবার দুপুর ১২টায় অবস্থান নেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
পরে দুপুর সাড়ে ১২টায় পরীক্ষা শেষ হলে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সামনের রাস্তায় ফুল হাতে দাঁড়িয়ে যান। পরীক্ষা দিয়ে যেসব শিক্ষার্থী সেই রাস্তা দিয়ে আসছেন সবাইকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান নেতাকর্মীরা।
এরপর ২০ মিনিটের মধ্যে তারা ফুল দেয়া শেষ করে ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে যান। তবে তারা কোনো স্লোগান দেননি।
ছাত্রদলের কর্মসূচিতে পুলিশি বাধার অভিযোগ তুলেছেন নেতাকর্মীরা। ছবি: নিউজবাংলা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সদস্য সচিব আমানুল্লাহ আমানের অভিযোগ, যখন তারা বহির্বিভাগের সামনে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীদের ফুল দিতে এগোয় তখন পুলিশ বাধা দেয়। এরপর তারা বিষয়টি প্রক্টরকে জানালে প্রক্টরও তাদের ক্যাম্পাস থেকে চলে যেতে বলেন।
আমানুল্লাহ বলেন, ‘পুলিশের বাধার পর আমরা প্রক্টর স্যারকে জানালে স্যারও আমাদের চলে যেতে বলেন। স্যারকে আমরা বলি, আমাদের পক্ষ থেকে যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেটি আমরা চেষ্টা করব। আর এতদিন যারা ক্যাম্পাসে এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা যদি সংযত থাকে তাহলে আর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না। এরপর আমরা আমাদের কর্মসূচি চালিয়েছি।’
ছাত্রলীগের ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে আমান বলেন, ‘কার কাছে এবং কেন আমরা ক্ষমা চাইব, সেটি আমরা বুঝতে পারছি না। ছাত্রলীগেরও কেউই স্পষ্টভাবে বলতে পারছে না, আমরা তাদের নেত্রীকে নিয়ে কী কটূক্তি করেছি। একটা কাল্পনিক অভিযোগ করে তারা ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চাচ্ছে।
‘এতদিন আমাদের বিভিন্ন কর্মসূচি ছিল। তাই ক্যাম্পাসে আসতে পারিনি। এটি আমাদের ক্যাম্পাস। আমরা এখন থেকে নিয়মতি ক্যাম্পাসে আসব। আমরা চেষ্টা করব আমাদের দিক থেকে যেন কোনো সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়। ক্যাম্পাসের সুন্দর পরিবেশের স্বার্থে ওনারা (ছাত্রলীগ) আর অস্ত্রের মহড়া না দিক, সেটা আমাদের আহ্বান।’