নোয়াখালীতে আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে পালানোর সময় আটক পাঁচ রোহিঙ্গাকে ভাসানচর আশ্রয়ণ কেন্দ্রে ফেরত পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে আটক দালাল জসিমকে মানব পাচার আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জসিমকে শুক্রবার সকালে ভাসানচর থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। বেলা ২টার দিকে ভাসানচর আশ্রয়ণ কেন্দ্রে ফেরত পাঠানো হয় আটক রোহিঙ্গাদের।
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আটক রোহিঙ্গারা হলেন ভাসানচর আশ্রয়ণের ৮৫ নম্বর ক্লাস্টারের নুরুল আলমের ছেলে ২৬ বছরের ইলিয়াস, ৬৪ নম্বর ক্লাস্টারের আমান উল্যার ছেলে ২২ বছরের হাফিজ উল্যা, ৫৯ নম্বর ক্লাস্টারের মো. হাছানের ছেলে ২৭ বছরের ইলিয়াছ, ৭৩ নম্বর ক্লাস্টারের অলি মোল্লার ছেলে ২১ বছরের আবু রায়হান এবং ৮৬ নম্বর ক্লাস্টারের নুরুল ইসলামের ছেলে ২৭ বছরের জাহাঙ্গীর আলম।
গ্রেপ্তার জসিম সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চরমোজাম্মেল গ্রামের আবদুল হাশেমের ছেলে ২৮ বছরের জসিম উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন থেকে দালাল জসিমসহ পাঁচ রোহিঙ্গাকে আটক করেন এলাকাবাসী। পরে তাদের উদ্ধার করে ক্যাম্পে নিয়ে যায় পুলিশ।
ওসি জিয়াউল হক বলেন, ‘মোহাম্মদপুরের আক্তার মিয়ার হাট এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিল কয়েকজন যুবক। বিষয়টি স্থানীয়দের সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা দালাল জসিম উদ্দিনকে আটক করা হয়। রাতে ছনখোলা পুলিশ ক্যাম্পের মাধ্যমে তাদের চরজব্বার থানায় হস্তান্তর করা হয়।
‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, টাকার বিনিময়ে দালাল জসিমের মাধ্যমে তারা ভাসানচর থেকে কক্সবাজার যাওয়ার উদ্দেশে সুবর্ণচর আসেন। ভাসানচর থেকে সুবর্ণচরের বোয়ালখালী ঘাট, পরে সেখান থেকে তাদের সীতাকুণ্ডে নামিয়ে দেয়ার কথা ছিল।’