বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যাত্রীদের ব্যাগ নিয়ে দালালদের টানাটানি বন্ধ বেনাপোলে

  •    
  • ৩ জুন, ২০২২ ১৫:১৫

ভারতযাত্রী ইশতিয়াক বলেন, ‘আজকে বেনাপোল চেকপোস্টের পরিবেশ এয়ারপোর্টের মতো মনে হলো। দালালমুক্ত পরিবেশ দেখে খুব ভালো লাগছে। নিজেদের কাজ নিজেরা করতে পেরে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছি।’

বেনাপোল চেকপোস্টে গেলেই শুরু হয়ে যেত যাত্রীদের ব্যাগ নিয়ে দালালদের টানাটানি। তারাই করে দিত ইমিগ্রেশনের কাজ। এ জন্য যাত্রীদের কাছ থেকে নেয়া হতো ইচ্ছামতো টাকা।

এখন আর এমন ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে না বলে জানান যাত্রীরা। দালালমুক্ত পরিবেশে তারা নিজেদের সব কাজ করতে পারছেন।

চিকিৎসার জন্য ঢাকা থেকে কলকাতা যাচ্ছিলেন ইশতিয়াক আহম্মেদ।

বেনাপোল চেকপোস্টে এসে তিনি বলেন, ‘এবার এসে দেখি চেকপোস্টে যাত্রী ছাড়া আর কেউ নেই। অন্য সময় চেকপোস্টে দেখতাম, দালালরা যাত্রীদের ব্যাগ নিয়ে টানাটানি করছে। এবার সেটা চোখে পড়েনি।

‘আমরা নিজেরাই ট্রলিতে লাগেজ নিয়ে গেছি, কাস্টমস ইমিগ্রেশনের সব কাজ শেষ নিজেরাই করেছি। অন্য সময় দালালরা এসব করত। দালালরা যা বলত আমরা তাই শুনতাম। নিজেদের খুব ছোট মনে হতো।’

ইশতিয়াক আরও বলেন, ‘আজকে বেনাপোল চেকপোস্টের পরিবেশ এয়ারপোর্টের মতো মনে হলো। দালালমুক্ত পরিবেশ দেখে খুব ভালো লাগছে। নিজেদের কাজ নিজেরা করতে পেরে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছি।’

বেনাপোল বন্দরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর প্রায় ১৮ লাখ মানুষ এই বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশে যাতায়াত করে। মাঝে করোনার সংক্রমণ বাড়ায় নানা বিধিনিষেধের কারণে যাত্রী সংখ্যা কমে যায়। সংক্রমণ কমায় যাতায়াত আবার বেড়েছে।

২৪ এপ্রিল থেকে ১ জুন পর্যন্ত এই চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে গেছেন ৭৭ হাজার ৩২০ জন আর ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছেন ৬৩ হাজার ৮৯০ জন যাত্রী।

কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে বেনাপোল চেকপোস্টে কিছু লোক পাসপোর্টধারী যাত্রীদের নানাভাবে হয়রানি করে আসছিল। সিরিয়াল ছাড়া দ্রুত কাজ করে দেয়ার নামে তারা টাকা হাতিয়ে নিতো।

যাত্রীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করলে চলতি বছরের শুরুতে কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন টার্মিনালে অত্যাধুনিক স্ক্যানিং মেশিন ও সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়। আনসার সদস্য ও চেকপোস্টের নিরাপত্তাকর্মীরা পাসপোর্ট ছাড়া কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না। এতে ভেতরে যেতে পারছেন না দালালরা।

পুরাতন ঢাকা থেকে আসা সুলতান আহম্মেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি প্রতি বছর পরিবার নিয়ে ভারতের উত্তর প্রদেশে আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে যাই। আজ বেনাপোল চেকপোস্টের যে পরিবেশ দেখলাম তা আগে কখনও দেখিনি। দালালমুক্ত চেকপোস্ট দেখে খুব ভালো লাগল।

‘আমরা যারা নিয়মিত যাতায়াত করি তাদের জন্য খুব ভালো হয়েছে। চেকপোস্ট দালালমুক্ত করায় আমরা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।’

বেনাপোল চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ রাজু জানান, এখন প্রতিটি যাত্রীকে সিরিয়ালে দাঁড় করিয়ে পাসপোর্ট চেক করা হচ্ছে। যাত্রীদের সেবা বাড়াতে কাউন্টার বাড়ানো হয়েছে। ক্যানসারের রোগী ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আলাদা কাউন্টারে সেবা দেয়া হচ্ছে।

কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল রশীদ মিয়া বলেন, ‘বর্তমানে চেকপোস্ট কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন দালালমুক্ত। এটি বাস্তবায়ন করতে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়েছে। এখন যাত্রীরা কোনো প্রকার হয়রানি ছাড়া নিরাপদে ভারতে যেতে আসতে পারছেন। কোনো ধরনের হুমকি-ধামকি দিয়ে ভেতরে দালাল ঢোকার সুযোগ নেই।’

এ বিভাগের আরো খবর