গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নিজড়া ইউনিয়নে রয়েছে ৭টি খাল। এসব খালের পানি নিজড়া, বটবাড়ী, বিদ্যাধর, নারকেলবাড়ীসহ সাত গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ রান্নাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করে থাকেন। খালের পানি দিয়েই প্রায় ৫০ হাজার কৃষক ১০ হাজার একর জমিতে ফসল ফলান।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কচুরিপানার কারণে ও খালের তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়া এসব খাল দিয়ে নৌকা চালানো যাচ্ছে না। এতে বিলের জমি থেকে ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছেন না কৃষকরা। সেই সঙ্গে পানি প্রবাহ বন্ধ হওয়ায় খালের পানি দূষিত হয়ে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এ কারণে বেড়েছে মশা-মাছির উপদ্রব।
খালগুলোর পানিপ্রবাহ চালু ও পানি ব্যবহারের যোগ্য করে তুলতে কচুরিপানা অপসারণসহ তলদেশ খননের দাবি জানিয়েছেন নিজড়া গ্রামের বাসিন্দারা।
স্থানীয় মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘খালে কচুরিপানা জমে গেছে, পানিও দূষিত। এ পানি আমরা ব্যবহার করতে পারি না। দ্রুত পানি ব্যবহারের যোগ্য করে তোলা হোক।’
নিজড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহম্মদ আলী মিনা ধলু বলেন, ‘কৃষক ও এলাকাবাসীর সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সরকার নেবে এমনটি দাবি করছি। এ দাবি এ এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি। এই কচুরিপানার কারণে এ অঞ্চলের মানুষের ভোগান্তির কোনো শেষ নাই।’
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহসিন উদ্দিন দ্রুত খাল থকে কচুরিপানা অপসারণসহ খননের ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
ভোগান্তি কমাতে খাল খনন ও কচুরিপানা অপসারণের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেবে কর্তৃপক্ষ এমনটিই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।