লালমনিহাটের কালীগঞ্জে বাবার কবিরাজি চিকিৎসায় যৌন সক্ষমতা হারানোয় ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন এক যুবক।
জেলা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ৪ বছর আগের গোলাম হোসেন হত্যা মামলার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে।
পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে দুপুরে সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ইসমাইল জানান, ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই কালিগঞ্জ উপজেলার নিথক অচিনতলা এলাকায় গভীর রাতে নিজ ঘরে খুন হন গোলাম হোসেন। তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার বড় ছেলে মামলা করলে শুরু হয় তদন্ত। তবে ৪ বছর ধরে ক্লুলেস মামলাটির জট খোলা যায়নি।
ইসমাইল আরও জানান, গত মার্চে মামলার তদন্তভার পান সিআইডির উপ-পরিদর্শক (এসআই) জায়েদুল ইসলাম জাহিদ। তিনি সন্দেহের ভিত্তিতে গোলাম হোসেনের দ্বিতীয় ছেলে জাহাঙ্গীর আলমকে গত ১০ এপ্রিল আটক করে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নেন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বাবাকে হত্যার দায় স্বীকার করেন।
জাহাঙ্গীরের বরাতে সিআইডি কর্মকর্তা ইসমাইল জানান, ২০০৯ সালে বাবার দেয়া কবিরাজি চিকিৎসায় তার যৌন সক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। পরের বছর বিয়ে করলে তিনি বিষয়টি বুঝতে পারেন। দীর্ঘ আট বছরের সংসারে স্ত্রীর সঙ্গে তার সম্পর্কে তিক্ততা চলে আসে। এ কারণে ক্ষোভ থেকে জাহাঙ্গীর তার বাবাকে হত্যা করেন।