স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আচরণবিধি ভঙ্গ করায় তিন সংসদ সদস্যের (এমপি) বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়ে তাদের সতর্ক করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার ইসির নির্বাচন প্রশাসন শাখার উপসচিব মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে তিন এমপিকে নির্বাচনি আচরণবিধি প্রতিপালনে সাবধান হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
শরীয়তপুর-১ আসনের এমপি ইকবাল হাসান, ঝিনাইদহ-২ আসনের এমপি তাহজীব আলম সিদ্দিকী ও ঝিনাইদহ-১ আসনের এমপি মো. আব্দুল হাইয়ের বিরুদ্ধে নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গ করার অভিযোগ উঠেছে।
আগামী ১৫ জুন এসব জায়গায় স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচন হবে। এদিনেই কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে বর্তমান আউয়াল কমিশন নির্বাচন অনুষ্ঠানে তাদের হিসাবের খাতা খুলবে।
এ ভোটের আগে আস্থা অর্জন করতে বর্তমান কমিশন স্বপ্রণোদিত হয়ে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। আচরণবিধি মেনে চলতে প্রতিদিনই কোনো না কোনো নির্দেশনা দিচ্ছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
তিন এমপিকে দেয়া পৃথক চিঠিতে কমিশন বলেছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন চলমান।
লক্ষ করা যাচ্ছে, কোনো কোনো এলাকায় আচরণ বিধিমালার ব্যত্যয় ঘটানো হচ্ছে অথবা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রচারে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। বিশেষ করে সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির অন্তর্ভুক্ত স্থানীয় সংসদ সদস্যরাও নির্বাচনি প্রচারে অংশ নিচ্ছেন, যা আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
আচরণবিধি লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলসহ অর্থদণ্ড ও কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সব সংসদ সদস্যের অবগতির জন্য সেসব বিধিবিধান পুনরায় উল্লেখ করা হলো।
আইনপ্রণেতা সংসদ সদস্যদের মাধ্যমে বা তাদের সংশ্লিষ্টতার কারণে আচরণবিধি লঙ্ঘনের মতো ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। এরূপ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দায়দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্য এড়াতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে কমিশন সংসদ সদস্যদের ঐকান্তিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছে। তার পরও কোনো কোনো ক্ষেত্রে এরূপ পরিস্থিতির উদ্ভব হলে সে ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনকে কঠোর অবস্থানে যেতে হতে পারে।
সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে সংসদ সদস্যরা সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকার ভোটার হলে তিনি কেবল ভোট দিতে নির্ধারিত ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবেন এবং ভোট শেষে ভোটকেন্দ্র ত্যাগ করবেন।