বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘ককাস, গণকমিশন সবই নির্মূল কমিটির’

  •    
  • ২ জুন, ২০২২ ২০:৩৯

জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘গণকমিশন গঠন করেছে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। তাদের উদ্যোগে এই কমিশন গঠন হয়েছে। এখানে যে ককাস আছে, ওরাও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির লোক।’

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছে জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ নামে একটি সংগঠন। কী কারণে সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি তোলা হয়েছে, জানতে চাইলে সংগঠনটির নেতারা বলছেন, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ‘অবৈধ’।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক গাজী আতাউর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গণকমিশন গঠন করেছে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। তাদের উদ্যোগে এই কমিশন গঠন হয়েছে। এখানে যে ককাস আছে, ওরাও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির লোক।’

ককাস জাতীয় সংসদের অনুমোদিত কমিটি কিনা সে নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি কেন নিষিদ্ধ চান জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা গণকমিশনেরও তদন্ত চেয়েছি। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি নিষিদ্ধ চাচ্ছি। কারণ এটা একটা অবৈধ সংগঠন।’

অবৈধ কীভাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আইন আদালত বিচার আছে না? আইন আদালত বিচারের বাইরে কাউকে নির্মূল করার এখতিয়ার কারও নেই।’

তিনি বলেন, ‘একটা অবৈধ সংগঠন নিষিদ্ধ হবে না কেন? তাদের কার্যক্রম জনগণের বিরুদ্ধে, দেশের বিরুদ্ধে। তারা দেশের আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে, ইসলামের বিরুদ্ধে, মসজিদ মাদ্রাসার বিরুদ্ধে।’

ওই সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা কামাল উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের মূল সমস্যা ঘাতক-দালাল কমিটিতে দুজনসহ আরও যে কয়েকজন আছেন, তাদের নিয়ে।’

দুইজন কারা কারা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যেমন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ আছেন, বিচারপতি মানিক সাহেব আছেন। এদের ব্যাপারটা নিয়ে আমাদের আলোচনা আছে। তবে পুরো কমিটিই প্রশ্নবিদ্ধ। শ্বেতপত্র তারাই বের করেছে, তারাই আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার বেশি করছে।’

সম্প্রতি এক হাজার মাদ্রাসা ও শতাধিক ইসলামি বক্তার বিভিন্ন তথ্য দিয়ে ‘ধর্ম ব্যবসায়ীদের’ দুর্নীতির তদন্তের আহ্বান জানায় ‘বাংলাদেশে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গণকমিশন’। ১১ মে দুর্নীতিসংক্রান্ত একটি শ্বেতপত্র দুর্নীতি দমন কমিশনে জমা দেয় তারা।

দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লার কাছে এ দিন শ্বেতপত্র ও সন্দেহভাজন শতাধিক ব্যক্তির তালিকা হস্তান্তর করেন গণকমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সদস্য সচিব ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল।

গণকমিশনের তালিকায় সন্দেহভাজন হিসেবে ১১৬ জনের নাম রয়েছে। শ্বেতপত্র ও তালিকাটি একই সঙ্গে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনেও দেয়া হয়েছে।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এবং জাতীয় সংসদের আদিবাসী ও সংখ্যালঘু বিষয়ক ককাসের যৌথ উদ্যোগে গঠন করা হয় ‘বাংলাদেশে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গণকমিশন’। ‘বাংলাদেশে মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ২০০০ দিন’ শীর্ষক শ্বেতপত্রটির মোড়ক উন্মোচন করা হয় ১২ মার্চ।

এ বিভাগের আরো খবর