অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক আবু হাসান মুহম্মদ তারিকের এর বাসা যে গৃহকর্মীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তার গলায় অর্ধ চন্দ্রাকৃতির দাগ ছাড়া কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই বলে সুরতহাল শেষে জানানো হয়েছে।
মরদেহের ময়নাদন্তের পাশাপাশি প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার জন্য শরীর থেকে নেক টিস্যু ও ডিএনএ প্রোফাইলিং এর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষ হলে পুলিশ সদস্যদের কাছে তার মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ফজলুল হক এই মরদেহ গ্রহণ করেন।
ময়নাতদন্ত করেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক শারমিন আফরোজ।
এর আগে ঢাকা জেলার সহকারী কমিশনার রিফাত নূর মৌসুমীর উপস্থিতিতে রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমেনা খানম সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন।
আমেনা খানম তার প্রাথমিক রিপোর্টে জানিয়েছেন, মৌসুমির শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর রমনায় পুলিশ কর্মকর্তাদের আবাসিক ভবন শিমুল থেকে মৌসুমির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে রমনা থানা পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।
রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইউনুছ আলী বলেন, ‘বিকেলে খবর পেয়ে অফিসার্স কোয়ার্টারের বাসা থেকে ওই গৃহকর্মীর মরদেহ উদ্ধার করি। ওই সময় বাসার বেলকুনিতে লোহার অ্যাঙ্গেলের সঙ্গে রশি দিয়ে মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল।’
মৌসুমির বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার বাইচাইল গ্রামে। তিনি রমনা অফিসার্স কোয়ার্টারে অতিরিক্ত আইজিপি আবু হাসান মোহাম্মদ তারিকের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতেন।
তারিক বর্তমানে রাজশাহীর সারদায় অবস্থিত পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ।