বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দক্ষিণ ঢাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অর্থ দিচ্ছে কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন

  •    
  • ২ জুন, ২০২২ ১৮:৩১

ফাউন্ডেশনের তহবিল দেয়ার মূল লক্ষ্য হলো বায়ু, পানি ও ভূমিদূষণের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি একটি কার্যকর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি গড়ে তোলা। পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য পরিবেশবান্ধব চাকরি বা গ্রিন জব এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ব্যবস্থা করে তাদের জীবনের মান উন্নত করাও এই পার্টনারশিপের লক্ষ্য বলেও জানানো হয়েছে।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি জোরদার করতে সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি এশিয়ার (এসআর এশিয়া) প্রকল্পে তহবিল সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন।

এসআর এশিয়ার প্রকল্পটির নাম ‘ইন্টিগ্রেটেড ম্যানেজমেন্ট অফ প্লাস্টিক অ্যাসর্টমেন্ট অ্যান্ড কন্ট্রিবিউশন টুওয়ার্ডস গ্রিন ইকোনমি (ইম্প্যাক্ট-জিই)’।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছে দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন।

ফাউন্ডেশনের তহবিল দেয়ার মূল লক্ষ্য হলো বায়ু, পানি ও ভূমিদূষণের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি একটি কার্যকর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি গড়ে তোলা। পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য পরিবেশবান্ধব চাকরি বা গ্রিন জব এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ব্যবস্থা করে তাদের জীবনের মান উন্নত করাও এই পার্টনারশিপের লক্ষ্য বলেও জানানো হয়েছে।

বর্জ্য সমস্যা প্রতিরোধ ও সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে কাজ করবে ইমপ্যাক্ট-জিই। প্রকল্পের প্রাথমিক মেয়াদকাল ১২ মাস। প্রথম ৬ মাসে পাইলটিং করে ১ হাজার ৮০০ টন পেট সংগ্রহ ও রিসাইকেল করা হবে, যা ১৩ কোটি ৭০ লাখ মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করবে বলে আশা করছে তারা।

এরই মধ্যে ৩০০ জন বর্জ্য সংগ্রাহক নিবন্ধন করেছে এসআর এশিয়ায়। এই সংখ্যা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে বলেও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

এসআর এশিয়ার কান্ট্রি ডিরেক্টর সুমায়া রশিদ বলেন, ‘চমৎকার কিছু নীতিমালা থাকার পরেও বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে সমস্যায় ভুগছে। এর সমাধানে সরকারি ও বেসরকারি দুই ধরনের উদ্যোগই জরুরি।’

সরকারকে সহায়তায় বেসরকারি খাতের এগিয়ে আসার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, আন্তর্জাতিক মান ও নীতিমালা অনুযায়ী থ্রিআর বাস্তবায়ন, পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জীবনের মান উন্নয়ন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবসায়িক মডেলের মাধ্যমে তাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন-এসব বিষয়ে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে।’

দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশনের সহায়তায় কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন নিয়ে আসা সম্ভব বলেও আশাবাদী সুমায়া রশিদ।

দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট সাদিয়া ম্যাডসবার্গ বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্জ্য সংগ্রহ ব্যবস্থা একটি অনানুষ্ঠানিক ব্যবস্থা এবং এটি ব্যাপকভাবে স্বীকৃত নয়। প্রোগ্রামটির মাধ্যমে আমরা এই অনানুষ্ঠানিক ব্যবস্থাকে আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করতে চাই।’

পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জীবনে স্থিতি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়তা করাও প্রকল্পের লক্ষ্য জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, এই প্রকল্প বর্জ্য হ্রাস করতে সাহায্য করবে এবং সমাজ ও পরিবেশের উন্নতি করবে।’

এর আগে, ব্র্যাককে ‘বন্ধন’ ক্যাম্পেইনে সহায়তা করেছে দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন। যার লক্ষ্য ছিল ঢাকা শহরের ১৩টি নিম্ন আয়ের এলাকায় পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য একটি নিরাপদ জীবন ও জীবিকার মডেল গড়ে তোলা।

১৯৮৪ সালে দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। পরিবেশ সুরক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং মানুষ ও কমিউনিটির সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য এ পর্যন্ত তারা বিশ্বজুড়ে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ইউএস ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে।

এ বিভাগের আরো খবর