যশোরে বাড়ি নির্মাণের জন্য খননকাজের সময় মাটিচাপা দেয়া অবস্থায় ড্রামের ভেতর মানুষের কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, যশোর মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বাবুল কিশোর সাহাকে প্রধান করে তিন সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার আব্দুস সামাদ ও ডাক্তার আব্দুর রশিদ।
যশোর শহরের কাজীপাড়া নিরিবিলি এলাকায় স্থানীয় বজলুর রহমানের জায়গায় বাড়ি নির্মাণের কাজ চলছিল। সোমবার দুপুরে পাইলিং করতে গিয়ে মাটির নিচে একটি ড্রামের সন্ধান পান শ্রমিকরা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে ড্রামটি উদ্ধার করলে এর ভেতরে মানুষের কঙ্কাল পাওয়া যায়।
পরিচয় শনাক্তে মঙ্গলবার কঙ্কালটির ময়নাতদন্ত শেষে বুধবার ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরে কঙ্কালটি যশোর আঞ্জুমান মফিদুলে দাফন করা হয়। কঙ্কালটির পরিচয় নিশ্চিত করতে পুলিশ যশোরে সম্প্রতি নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনদের সঙ্গেও কথা বলছে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন থানায় নিখোঁজ ব্যক্তিদের জিডির বিষয়ে অনুসন্ধানে বার্তা পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ বলেন, ‘এই এলাকায় গত ৮-১০ বছরে কোনো মানুষ নিখোঁজ হয়েছে বলে মনে পড়ছে না। এখানে বাড়ি নির্মাণের জন্য চার দিন ধরে ৮ থেকে ১০ জন করে শ্রমিক কাজ করতেন। কিন্তু কঙ্কাল উদ্ধারের পর সব কাজ এখন বন্ধ রয়েছে।’
বুধবার এ বিষয়ে জানতে ওই জমির মালিক বজলুর রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। তবে কঙ্কাল উদ্ধারের দিন তিনি সাংবাদিকদের জানান, আড়াই বছর আগে সোয়া চার শতক জমিটি পুরাতন কসবা এলাকার মোতালেব বাবুর কাছ থেকে কিনেছিলেন তিনি। কিছুদিন আগে তিনি সেখানে বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেন।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ডিএনএ-এর রেজাল্ট পেলে আসল তথ্য পাওয়া যাবে। সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’