ডগ স্কোয়াডের প্রশিক্ষণ নিতে নেদারল্যান্ডসে গিয়ে পুলিশের দুই কনস্টেবলের লাপাত্তা হওয়ার বিষয়টি তদন্ত করছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।
অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি সদর) মো. শরিফুল একাই ঘটনার তদন্তে আছেন বলে নিশ্চিত করেছেন সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) আমির জাফর।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তবে ওই অর্থে কোনো কমিটি না, মূলত অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. শরিফুলকে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি একাই এটা তদন্ত করবেন। তাকে পাঁচ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।’
ডগ স্কোয়াডের প্রশিক্ষণ নিতে গত ৯ মে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের আট সদস্যের একটি দল যায় নেদারল্যান্ডসে। প্রশিক্ষণ শেষে ফিরে আসার আগের দিন থেকে নিখোঁজ হন তাদের দুজন। কোনো খোঁজ না পেয়ে তাদের ছাড়াই গত ২৪ মে অন্য ছয়জন ফিরে আসেন।
ওই দুজন কোথায়, জানে না নগর পুলিশ কিংবা ওই প্রশিক্ষণ দলের কেউ। তারা নিখোঁজ নাকি আত্মগোপনে আছেন, তা-ও নিশ্চিত নয় পুলিশ।
লাপাত্তা পুলিশ সদস্যরা হলেন শাহ আলম ও রাসেল চন্দ্র দে। তারা চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কনস্টেবল। রাসেল সিএমপির দামপাড়া পুলিশ লাইনস ও আলম মনসুরাবাদ পুলিশ লাইনসের ব্যারাকে থাকতেন। রাসেলের বাড়ি কক্সবাজারে ও আলমের বাড়ি কুমিল্লায়।
রাসেলের বোন কমলা পাল জানান, গত ২৬ মে রাসেল তার দুবাইপ্রবাসী ভাই সুভাষ চন্দ্রকে ফোনে জানিয়েছেন, তার পুলিশের চাকরি ভালো লাগে না। তাই নেদারল্যান্ডসে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
শাহ আলমের বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, ‘মৌখিকভাবে শাহ আলমের পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানতে পেরেছি। এর বাইরে আর কিছুই জানি না।’
নেদারল্যান্ডসে প্রশিক্ষণে যাওয়া আট সদস্যের ওই দলের নেতৃত্বে ছিলেন বায়েজিদ জোনের সহকারী কমিশনার বেলায়েত হোসেন। তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে পুলিশের আটজনের ওই দলে থাকা এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তারা পরিবারের জন্য কিছু জিনিসও কিনেছিলেন নেদারল্যান্ডস থেকে। ওই জিনিসপত্রগুলো হোটেলেই ছিল। কিন্তু বাইরে বের হয়ে তারা আর হোটেলে ফিরে আসেননি। প্রাথমিকভাবে তাদের খোঁজাও হয়েছিল, কিন্তু পাওয়া যায়নি।’