বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘কর্তৃপক্ষের অবহেলায়’ ৫৮ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল

  •    
  • ১ জুন, ২০২২ ২১:৩২

জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, ‘যে ৫৮ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলের কথা বলা হচ্ছে তারা এ স্কুলের শিক্ষার্থীই না। স্কুলে তাদের কোনো কাগজপত্র জমা নেই। হাজিরা খাতায় তাদের নাম নেই। তারা অবৈধভাবে স্কুলে ক্লাস করছিল।’

গোপালগঞ্জের শেখ হাসিনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫৮ ছাত্রীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি ওই ৫৮ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করা হয়েছে। তাদের প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না শ্রেণিকক্ষে। নেয়া হয়নি অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষার ফি।

ভর্তি বাতিল হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ষষ্ঠ শ্রেণির ১৩ জন, সপ্তম শ্রেণির ১৮, অষ্টম শ্রেণির ১৬ এবং নবম শ্রেণির ১১ জন ছাত্রী রয়েছে।

ভর্তি বাতিলের প্রতিবাদে স্থানীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বুধবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু সড়কে মানববন্ধন করে এসব শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকরা।

ওই সময় পরীক্ষায় অংশ নেয়াসহ শিক্ষাজীবন নিশ্চিতের দাবি-সংবলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা হয়।

পরে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অভিভাবক শহীদুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘৫৮ শিক্ষার্থী নিয়মিত ক্লাস করছিল। হঠাৎ তাদের ভর্তি অবৈধ উল্লেখ করে স্কুলে আসতে ও অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষায় অংশ নিতে বাধা দেয় কর্তৃপক্ষ।

‘এর ফলে ওই সব শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বছরের অর্ধেক সময় অতিবাহিত হওয়ার পর এমন সিদ্ধান্ত নেয়ায় শিক্ষার্থীরা অন্য স্কুলে ভর্তি হতে পারবে না। এতে শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’

এসব শিক্ষার্থী যাতে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে সে জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।

ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সায়েরা হাসিনা বলেন, ‘বছরের মাঝখানে এসে আমাদের ভর্তি বাতিল করা হয়েছে। এতদিন আমরা এই স্কুলে লেখাপড়া করেছি। এখন আমরা স্কুলে যেতে পারছি না। এখন তো আমরা অন্য স্কুলেও ভর্তি হতে পারব না। আমাদের অপরাধ কী? আমাদের লেখাপড়া কি বন্ধ হয়ে যাবে।’

অভিভাবক হাবিবুর রহমান ও আরিফা পারভীন জানান, গত ৫ এপ্রিল শেখ হাসিনা সরকারি বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ হুমায়রা আক্তার বদলি হন। তিনি ৫৮ শিক্ষার্থীর ভর্তি অনুমোদন করেন। তিনি চলে যাওয়ার পর শাহানাজ রেজা অ্যানি নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেন। নতুন অধ্যক্ষ যোগদানের পর ওই ৫৮ শিক্ষার্থীকে অতিরিক্ত ছাত্রী ভর্তি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

২ জুন থেকে বিদ্যালয়ে অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষার রুটিন দেয়া হয়েছে। সব শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ভর্তি ফি নেয়া হলেও ওই ৫৮ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে পরীক্ষার ফি নেয়া হয়নি। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ে যোগাযোগ করলে আমাদের জানানো হয় সাবেক অধ্যক্ষ ৫৮ শিক্ষার্থীর ভর্তি রেজিস্ট্রারে নাম তুলে না যাওয়ায় এ জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। তাই জেলা প্রশাসকের নির্দেশে তাদের পরীক্ষার ফি নেয়া হয়নি।

এ বিষয়ে কথা বলতে বর্তমান অধ্যক্ষ শাহানাজ রেজা অ্যানির সঙ্গে মুঠোফোনে বারবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

সাবেক অধ্যক্ষ হুমায়রা আক্তার বলেন, ‘যে ৫৮ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করা হয়েছে, এটা দুঃখজনক। আমি ব্যাংকে চিঠি দিয়ে টাকা নিতে নিষেধ করলেও কিছু শিক্ষক ও কর্মচারীর যোগসাজশে এ কাজটি হয়েছে। আমি এ বিষয়ে তদন্ত করার জন্য কমিটি গঠন করেছিলাম। বদলিজনিত কারণে এটি আর এগোয়নি।’

জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, ‘যে ৫৮ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলের কথা বলা হচ্ছে তারা এ স্কুলের শিক্ষার্থীই না। স্কুলে তাদের কোনো কাগজপত্র জমা নেই। হাজিরা খাতায় তাদের নাম নেই। তারা অবৈধভাবে স্কুলে ক্লাস করছিল।

‘ব্যাপারটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। তারা বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’

এ বিভাগের আরো খবর