দলের নির্বাচনি ইশতেহারে দেয়া প্রতিশ্রুতি মাথায় রেখেই প্রতি বছর বাজেট প্রণয়ন করা হয় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বুধবার আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সভার শুরুতে তিনি এ কথা বলেন। এদিন বিকেল ৪টার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সভাপতিত্বে সভা শুরু হয়।
শুরুতে জাতির পিতা, জাতীয় চার নেতা, ১৫ আগস্টের শহীদ, প্রয়াত উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং সবার আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।
শেখ হাসিনা সূচনা বক্তব্যে বলেন, ‘নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে আমরা সেটা ভুলে যাই না। প্রতিবার বাজেট ঘোষণার সময় সেই ইশতেহার হাতে নিয়ে কতটুকু অর্জন করতে পারলাম, কতটুকু আমাদের সামনে করতে হবে সেগুলো বিবেচনা করে সেভাবেই বাজেট করি।’
ডিসেম্বরের মধ্যে আওয়ামী লীগের আগামী জাতীয় সম্মেলন করা হবে বলেও উপদেষ্টা পরিষদ সদস্যদের জানান দলের সভাপতি।
তৃণমূল পর্যায় থেকে উন্নয়ন করা হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। ১৫ আগস্টের পর বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থা দুঃখজনক ছিল। কারণ ক্ষমতা তো জনগণের হাতে ছিল না। ক্ষমতা চলে গিয়েছিল সেই মিলিটারি ডিকটেটরদের হাতে।
‘তারা উর্দি পরে ক্ষমতা দখল করত। যার ফলে দেশের উন্নয়ন না হয়ে তারা তাদের উন্নয়ন করেছে। ১৯-২০টা ক্যু হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছিল অস্ত্রের ঝনঝনানি, সেশনজট ছিল।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারে এসে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করেছে। মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে, আয় বেড়েছে। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে এবং সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে চলছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সততা ছিল বলেই এই চ্যালেঞ্জ নিতে পেরেছি। নিজের অর্থে পদ্মা বহুমুখী সেতু করেছি। পদ্মাসেতু একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। নিজের অর্থে সেই সেতু করেছি। ২৫ জুন উদ্বোধন করব ইনশাল্লাহ।
‘কানাডা কোর্ট রায়ে বলেছে সব অভিযোগ ভুয়া ও মিথ্যা। ড. ইউনুস এটা করেছে শুধু গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদের জন্য। ৭১ বছর বয়স পর্যন্ত ড. ইউনূস বেআইনিভাবে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি থেকেছে। এ নিয়ে মামলা করে সে হেরে যায়। বিশ্বব্যাংক তার কথায় ফান্ড বন্ধ করে দেয়। পরে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে করি। দেশের ৯০ ভাগ উন্নয়ন নিজস্ব অর্থায়নে করছি।’
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে দলের জাতীয় সম্মেলন করা হবে বলে উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
২০১৯ সালের ২০ ও ২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন হয়। তিন বছরের কমিটির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ডিসেম্বরে। গত দুইবারের মতো এবারও নির্ধারিত সময়েই সম্মেলন করতে চায় দলটি। তারই অংশ হিসাবে তৃণমূলের মেয়াদোত্তীর্ণ শাখাগুলোর সম্মেলন করছে তারা।