চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে বিএনপি নেতাসহ তিন জনের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন কুমিল্লার এক যুবলীগ নেতা।
ইউটিউব চ্যানেলের একটি অনুষ্ঠানে কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের মেয়রপ্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা আরফানুল হক রিফাত ৬০ কোটি টাকায় মনোনয়ন কিনেছেন দাবি করায় তাদের নামে মামলা করা হয়।
চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জহিরুল কবিরের আদালতে বুধবার সকালে মামালা করেন কুমিল্লা শহর যুবলীগের আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ।
আসামিরা হলেন, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জনিপপ) সভাপতি অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী ও ইউটিউব চ্যানেল টেবিল টক ইউকের সঞ্চালক হাসিনা আক্তার।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (সাইবার ট্রাইব্যুনাল) মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।’
বাদীর আইনজীবী ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী জানান, ইউটিউব চ্যানেল ‘টেবিল টক ইউকে’তে ১৯ এপ্রিল একটি টকশো প্রচারিত হয়। সেখানে মামলার বাদী ও আওয়ামী লীগ নেতা রিফাতের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত বিষোদগার এবং বানোয়াট অপপ্রচার করেছেন আসামিরা। নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ সেখানে দাবি করেন আরফানুল হক রিফাতের নমিনেশন নিশ্চিত করতে ৬০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।
আইনজীবী ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, ‘তথ্য-প্রমাণ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমে মানহানিকর বক্তব্য উপস্থাপন করে তারা নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছেন। এমন বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার, আওয়ামী লীগ নেতা রিফাতের ও বাদীর ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও রাজনৈতিক সম্মানহানি হয়েছে।’
তিনি জানান, মনিরুল হক চৌধুরী কলিমুল্লাহর বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন। আর সঞ্চালক হাসিনা আক্তার ‘৬০ কোটি টাকা দিয়ে নমিনেশন ক্রয় করেছে গডফাদার রিফাত’ শিরোনামে টকশোটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছেন। তাই তাদের নামে মামলা করা হয়েছে। ১২ জুলাই মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও জানান এ আইনজীবী।