বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্বর্ণ চোরাচালানে বিমানের ১৩ কর্মী বরখাস্ত

  •    
  • ১ জুন, ২০২২ ১৮:০৮

আবু সালেহ বলেন, স্বর্ণ চোরাচালানসহ বিভিন্ন অপরাধে গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভাগীয় মামলা হয়েছে ২০২টি। এর মধ্যে শাস্তি নিশ্চিত করা হয়েছে ১৭৮ জনকে।

স্বর্ণ চোরাচালানের অভিযোগে গত এক বছরে ১৩ কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সালেহ মোস্তফা কামাল।

কুর্মিটোলায় বিমান বাংলাদেশ ট্রেনিং সেন্টারে বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান তিনি।

আবু সালেহ বলেন, ‘স্বর্ণ চোরাচালানসহ বিভিন্ন অপরাধে গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভাগীয় মামলা হয়েছে ২০২টি। এর মধ্যে শাস্তি নিশ্চিত করা হয়েছে ১৭৮ জনকে।

‘এদের মধ্যে চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছেন ৫২ জন। এ ছাড়া তিনজন হয়েছেন চাকরি থেকে অপসারণ। এর মধ্যে একজন ককপিট ক্রু আছেন। একজন কেবিন ক্রুকেও অপসারণ করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বরখাস্ত ৫২ জনের মধ্যে ১৩ জন স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা আছে। সেটা আদালতের গতিতে চলছে। আমাদের এখান থেকে তারা বরখাস্ত হয়েছেন। দুজনের পদাবনতি হয়েছে। বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি বন্ধ করা হয়েছে ১৫ জনের। অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে ৯ জনের। তিরস্কার করা হয়েছে ২৫ জনকে। কঠোর সতর্ক করা হয়েছে ৩৬ জনকে।’

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কর্মীদের বিরুদ্ধে স্বর্ণ চোরাচালানের অভিযোগ বেশ পুরোনো। গত ২৬ মে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর এলাকায় অবস্থিত বিমানের ক্যটারিং সেন্টার- বিএফসিসিতে ৭ ঘণ্টার অভিযান চালিয়ে আট কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করে কাস্টমস। এরপর বিষয়টি নিয়ে আবারও আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

চোরাচালানে বিমানকর্মীদের জোগসাজশে মেনে নিয়ে বিমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে অপারেটর, এয়ারলাইনস কমবেশি তাদের লোকজন জড়িত, এটাকে অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। না থাকলে এটা আসে কীভাবে? আগে বড় চালানে স্বর্ণ ধরা পড়ত, এখন ৬-৭টা ধরা পড়ছে।

‘আগে স্বর্ণ আমদানি করত না, কিন্তু নীতিমালা হওয়ার পর বিরাট লাইন দেখা যায় কাস্টমসে। তার পরও আসছে। এটাকে যতটা পারা যায়, শূন্যে নিয়ে যাওয়া। আপনারা দেখেন এই সোনার ছেলেদের মটিভেট করা হচ্ছে। আমরা তাদের সুন্দর কাজে লাগাতে চাই। তাদের আমরা যে সার্টিফিকেট পেয়েছি সেটা ইউটিলাইজ করছি।’

তিনি বলেন, ‘একজন পাইলট যে সিলেবাসে লেখাপড়া করেন, একজন ইঞ্জিনিয়ারও একই সিলেবাসে লেখাপড়া করেন। নিজেদের প্রয়োজনে এমন ২৭ জনকে বিমান রেখে দিয়েছে। আমরা তাদের ইউটিলাইজ করছি। সিসিটিভি বাড়িয়েছি, বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে যাতে দেখা যায়। নিজেদের মধ্যে সমন্বয়ও করছি।

‘নতুন কিছু ইকুইপমেন্টও লাগাচ্ছি। ভৌত অবকাঠামো দিয়ে পথ রুদ্ধ করার চেষ্টা করছি। এগুলো করা হচ্ছে যাতে ধীরে ধীরে এগুলো কমে আসে।’

এ বিভাগের আরো খবর