সাতক্ষীরায় চাচার বাড়ি থেকে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শহরের কাটিয়া এলাকায় চাচার বাড়ি থেকে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে মেয়েটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মেয়েটির বাবা জানান, তার মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে গত ৯ মে মামলা করেন। বিষয়টি নিয়ে সহপাঠী ও স্থানীয় লোকজন হাসিঠাট্টা করায় মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে।
কাটিয়া পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মিজানুর রহমান জানান, গত ৩ মে শহরতলির ইটাগাছার বনলতা হাউসিং কমপ্লেক্স এলাকায় এক সহপাঠীর বাড়ি যায় মেয়েটি। সেখানে হৃদয় হোসেন নামের এক যুবক তাকে ধর্ষণ করেন।
গত ৭ মে বাড়ির পেছনে কৌশলে ডেকে নিয়ে হৃদয় তাকে আবার ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা সাতক্ষীরা সদর থানায় হৃদয় ও দুই নারীর নামে ধর্ষণ মামলা করেন। হৃদয়কে আটক করা না গেলেও ওই দুই নারীকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের বক্তব্যের সঙ্গে মামলার বিবরণ না মেলায় দুজনকেই ছেড়ে দেয়া হয়।
১০ মে মেয়েটি সাতক্ষীরার বিচারিক হাকিম ইয়াসমিন নাহারের কাছে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দি শেষে সদর হাসপাতালে তার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়।
এরপর মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে চাচার বাড়ি থেকে মেয়েটির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাদের বাড়ি আর চাচার বাড়ি পাশাপাশি।
মেয়েটির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহপাঠী জানায়, হৃদয়ের সঙ্গে ওই মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। একপর্যায়ে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়লে হৃদয়কে বিয়ের জন্য চাপ দেয় কিন্তু সে রাজি হয় না। এলাকায় ঘটনাটি জানাজানি হয়।
যদিও মেয়ের বাবা বলেন, ‘বান্ধবীর বাড়িতে বেড়াতে গেলে হৃদয় আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে। স্কুলে গেলে অন্য মেয়েরা তাকে নিয়ে হাসিঠাট্টা করছিল। স্থানীয় লোকজনও নানা কথা বলছিল। ক্ষোভে-দুঃখে সে আত্মহত্যা করেছে।’
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কবীর জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা অপমৃত্যু মামলা করেছেন।