বগুড়ার সদর উপজেলায় মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় যমজ নবজাতকের একজন প্রাণ হারিয়েছে। এ ঘটনায় আরও তিনজন আহত হয়েছেন।
উপজেলার সাবগ্রাম আকাশতারা এলাকার রেলগেটে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুর নাম দিয়া। তাদের বয়স ১৫ দিন। তার বাবার নাম মিন্টু মিয়া। মায়ের নাম মারুফা আক্তার। তাদের বাড়ি নারুলীতে, তবে ঢাকার মহাখালী এলাকায় তারা বসবাস করত।
আহত মিন্টু মিয়া বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া রেলস্টেশন ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) আমিনুল ইসলাম।
তিনি জানান, আকাশতারা রেলগেট এলাকায় মাইক্রোবাসে করে যমজ নবজাতকদের নিয়ে বাড়ি ফিরছিল তাদের পরিবার। পথে রেললাইন পার হওয়ার সময় লালমনিরহাট ছেড়ে আসা সান্তাহারগামী টোয়েন্টিডাউন ট্রেন মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দেয়। এতে মাইক্রোবাসটি উল্টে ভেতরের সবাই আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে ওই শিশু মারা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আকাশতারা লেভেল ক্রসিং এলাকায় কোনো গেটম্যান নেই। দুপুর ১২টার দিকে মাইক্রোবাসটি লেভেল ক্রসিং পার হচ্ছিল। এ সময় ট্রেন আসছে দেখে প্রত্যক্ষদর্শীরা মাইক্রোচালককে নিষেধ করেন চলতে। শেষ মুহূর্তে ট্রেন আসতে দেখে চালক গাড়িটি পিছিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। ততক্ষণে ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসটি উল্টে সবাই আহত হন।
স্থানীয় আরিফুর রহমান জানান, দুর্ঘটনার সময় গাড়িতে চালক ছাড়া যমজ শিশু, দুই নারী ও এক ব্যক্তি ছিলেন। ওই সময় একটি শিশু সিটের নিচে পড়ে ছিল। তার অবস্থা তখনই অনেক খারাপ ছিল। পরে তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শিশুদের মা মারুফা আক্তার জানান, ১৫ দিনের সন্তানদের নিয়ে ঢাকা থেকে বগুড়ার নারুলী মায়ের বাড়িতে আসছিলেন তারা।
ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ওই এলাকায় লেভেল ক্রসিংয়ে কোনো গেটম্যান নেই। বিষয়টি রেল পুলিশ দেখছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে মাইক্রোচালক পলাতক।’