ঢাকার সাভারে পূর্ব শত্রুতার জেরে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে আহত ফটোগ্রাফার কৃষ্ণ সরকার আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার এক দিন পর মারা গেছেন।
সাভার এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বুধবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার মো. ইউসুফ।
তিনি বলেন, ‘সোমবার ওই ব্যক্তিকে গুরুতর অবস্থায় আমাদের এখানে নিয়ে আসা হয়। আইসিইউতে তার চিকিৎসা চলছিল। আজ সকাল ৮টার দিকে তিনি মারা গেছেন।’
এর আগে সোমবার রাতে সাভার পৌরসভার আরাপাড়া জমিদারবাড়ী পুকুরপাড় এলাকায় কৃষ্ণ সরকারকে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় পরদিন রাতে সাভার মডেল থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন কৃষ্ণের বড় ভাই গোবিন্দ সরকার।
৪০ বছর বয়সী কৃষ্ণ সরকার সাভারের পৌরসভার সুতার নোয়াদ্দা মহল্লার ননী গোপাল সরকারের ছেলে। তিনি ঢাকার একটি স্টুডিওতে ফটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করতেন।
আসামিরা হলেন কুষ্টিয়া জেলা থানার লালন শাহ্ মাজারের পাশে মণ্ডলপাড়া এলাকার মো. নয়ন, সাভারের আরাপাড়া এলাকার সেপাল বাশার ও মো. আকাশ এবং নামাবাজার এলাকার মো. সোহেল ওরফে বুলেট।
এজাহারে বলা হয়, কৃষ্ণ সরকারের সঙ্গে আসামিদের পূর্ব বিরোধ ছিল। সোমবার রাত ১০টার দিকে ঢাকা থেকে কাজ শেষ করে সাভারের বাসায় ফিরছিলেন কৃষ্ণ৷ পরে আরাপাড়া জমিদারবাড়ী পুকুরপাড়ে পৌঁছালে আগে থেকে ওত পেতে থাকা নয়নসহ বাকি আসামিরা তাকে মারধর করেন।
এ সময় সুইচগিয়ার (চাকু) দিয়ে তার বুকের বাঁ পাশে ও পেটের ডান পাশে আঘাত করেন আসামিরা। পরে স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় কৃষ্ণকে উদ্ধার করে সাভার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস এম শাহারিয়ার এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘সকালে কৃষ্ণ সরকারের মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছি। দুপুরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’