সারা দেশে চলমান অভিযানের মধ্যে কুষ্টিয়ার খুচরা বাজারে এক টাকা বেড়েছে মিনিকেট চালের দাম। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৭ টাকা দরে।
কুষ্টিয়া পৌর বাজারে সকালে কয়েকটি দোকানে কেজিপ্রতি বিক্রি তালিকায় ৬৫ টাকা কেনা এবং ৬৭ টাকায় মিনিকেট চাল বিক্রি লিখে রাখা হয়েছে।
খুচরা বিক্রেতা আশরাফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেছেন, ‘মিলগেটে মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৬৪ টাকায়। অর্ডার দিলে ৪ থেকে ৫ দিন পরে দেবেন বলছে। এ কারণে বাইরের আড়ৎ থেকে কিনতে গিয়ে দাম আরও বেশি পড়ে যাচ্ছে। তবে অর্ডার দেয়ার ৪-৫ দিন পর সরবরাহ করা হচ্ছে।
কুষ্টিয়ার বড় বাজার আড়ৎ থেকে ২৫ কেজির বস্তার মিনিকেট চাল কিনে দোকানে নিয়ে আসতে কেজিপ্রতি ৬৫ টাকার বেশি পড়ছে। এ কারণে ৬৭ টাকা করে বিক্রি করছি। এ ছাড়া কাজল লতা ও আটাশ চালের দামও কেজিতে ১টাকা করে বেড়েছে। তবে ঠিকমতো অভিযান চালানো হলে দাম কমতে পারে।’
বাজারে মা ট্রেডার্স-এর বিক্রয় তালিকার বোর্ডে দেখা যায়, মিনিকেট ৬৬ টাকা কেজি বিক্রির ঘোষণা। দোকানি মো. রিপন বলেন, ‘দুদিন আগে কেনা চাল তাই ৬৬টাকা কেজি বিক্রি করতে পারছি। আজ চাল কিনতে পাঠিয়েছি। এটি এখন ৬৭ টাকা কেজি বেচতে হবে।
তিনি বলেন, ‘ভরা মৌসুমে চালের এতো বেশি দাম আগে দেখিনি। মিল মালিকরা ৩২০০ টাকা দাম নিচ্ছেন ৫০ কেজি বস্তার। কিন্তু ২৫ কেজির বস্তা নিলে দাম কেজিতে আরও ১০ টাকা করে বেশি। ক্রেতারাও ২৫ কেজির বস্তাই বেশি নিচ্ছেন। তাই দাম বেশি পড়ছে।’
নিউ স্বপন স্টোরের মো. স্বপন বলেন, ‘আজ চালের দাম কিছুটা বেশি। তবে, কোনো কোনো জায়গায় ধানের দাম কমার খবর পাচ্ছি। পাশাপাশি অভিযানও চলছে। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে দাম কমতে পারে।’
চালের বাজারদর নিয়ন্ত্রণে সারা দেশে অভিযান শুরু হলেও যেখান থেকে চালের দর নিয়ন্ত্রিত হয় বলে অভিযোগ রয়েছে সেই কুষ্টিয়ায় এখনও অভিযান শুরু হয়নি।
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা পাঁচটি টিম দিয়ে মনিটর করছি। উচ্চপর্যায় থেকে ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে অভিযান চালানোর নির্দেশনা আছে, আমরা সে মোতাবেক অভিযান চালাব। মিলে বা বাজারে কোনো অসংগতি পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আমাদের পর্যবেক্ষণে মিলে ৬৪ টাকার বেশি দাম পাইনি। মিলের ধান কেনা ও চাল বেচার কাগজপত্র পরীক্ষা করছি। আর মিল মালিকদের নির্দেশনা দিয়েছি মাড়াই করেই বিক্রি করতে। চাল যেন মজুদ না রাখা হয়। বাইরে পাইকারী বা খুচরা পর্যায়ে কেউ দাম বাড়ালে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
অভিযান জোরদার করা হলে দাম কমতে পারে বলে আশা করেছেন বিক্রেতারা।