রাজধানীর শাহজাহানপুরের বাগিচা এলাকার একটি বাসায় নিজ গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যু হয়েছে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকাল পৌনে ৬টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া নিউজবাংলাকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তিনি জানান, ১৮ বছর বয়সী ওই নারীর নাম মিম আক্তার। তিনি চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তার শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
পরিবারের ভাষ্য, স্বামীর সঙ্গে কথা-কাটাকাটির জেরে গত শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন মিম। পরে দ্রুত তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
মিমের মা জানান, শাহজাহানপুরের গুলবাগ এলাকায় তার জামাতার ফ্লেক্সিলোড ও লন্ড্রির ব্যবসা রয়েছে। প্রতিদিন অনেক মেয়ে ওই দোকানে আসে। তাদের একজনের সঙ্গে তার জামাতার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি নিয়ে তার মেয়ের সঙ্গে জামাতার কথা-কাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে তার মেয়ে অভিমান করে নিজ কক্ষে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন।
ওই নারী আরও জানান, তিন বছর আগে প্রেমের বিয়ে হয় মিমের। স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ছয় মাস আগে মিম হারপিক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। সে সময় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার পর তাকে শাহজাহানপুরে নিজেদের বাসায় নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে পরে বুঝিয়ে আবার স্বামীর বাগিচার বাসায় পাঠানো হয়েছিল তাকে।