ঢাকা-জলপাইগুড়ির মধ্যে মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন বুধবার থেকে বাণিজ্যিকভাবে চলাচল শুরু করবে।
ভারতের রেলমন্ত্রী ও বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী ভারতের দিল্লীতে এটি উদ্বোধন করবেন।
রেলমন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা শরিফুল আলম সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার এ তথ্য জানানো হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগদানের উদ্দেশে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন এরই মধ্যে ভারতে অবস্থান করছেন। তিনি ও ভারতীয় রেলমন্ত্রী শ্রী আশ্বিনি বৈষ্ণব বুধবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে ট্রেনটির ভার্চুয়াল ফ্ল্যাগ অফ করবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভারতের নিউ জলপাইগুড়ি থেকে বাংলাদেশের ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের মধ্য দিয়ে চলাচল করবে। ট্রেনটি হলদিবাড়ি (ভারত)- চিলাহাটি (বাংলাদেশ) রুট দিয়ে চলাচল করবে।
চলাচলের সময়
রেলওয়ের এক কর্মকর্তা জানান, নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ট্রেন ছাড়বে রাত পৌনে ১২টায়। পৌনে ১১ ঘণ্টায় ৫৩৪ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পর দিন সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশনে পৌঁছাবে।
ট্রেনটি সপ্তাহে চার দিন চলাচল করবে। ট্রেনটি ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে সোম ও বৃহস্পতিবার ছাড়বে। বিপরীত দিকে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ছাড়বে রোববার ও বুধবার। ট্রেনে আসন থাকবে ৪৫৬টি। এতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চারটি কেবিন কোচ ও চারটি চেয়ার কার থাকবে।
ভাড়া
ট্রেনের ভাড়া এসি বার্থ ৫ হাজার ২৫৫, এসি সিট ৩ হাজার ৪২০, এসি চেয়ার ২ হাজার ৭৮০ টাকা।
বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে, ট্রেনটির ওয়াটারিং ও পরিস্কার ঢাকা স্টেশনে হবে।
মিতালী এক্সপ্রেস ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে তৃতীয় ট্রেন। ইতিমধ্যে দুটি যাত্রীবাহী ট্রেন মৈত্রী এক্সপ্রেস এবং বন্ধন এক্সপ্রেস দুই বছর কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে বন্ধ থাকার পর গত রোববার আবার চালু হয়েছে।
ঢাকা-কলকাতার মধ্যে মৈত্রী এক্সপ্রেস প্রথম চালু হয় ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল। ঢাকা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু ও লালন সেতু হয়ে দর্শনা-গেদে রুটে এই ট্রেন চলাচল করে সপ্তাহে পাঁচ দিন।
২০১৭ সালের ১০ নভেম্বর খুলনা-কলকাতা বন্ধন ট্রেন চালু হয়। বেনাপোল-পেট্রাপোল রুটে সপ্তাহে দুই দিন চলাচল করে এটি।
একসময় বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের আটটি রেল সংযোগ ছিল। পাকিস্তান আমলে এসব লাইন বন্ধ করে দেয়া হয়। দুই দেশের মধ্যে সামাজিক ও অর্থনৈতিক যোগাযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বন্ধ থাকা লাইনগুলো চালুর উদ্যোগ নিয়েছে দুই দেশের সরকার।
এ ছাড়া বিরল-রাধিকাপুর, রোহনপুর-সিঙ্গাবাদ রুটে মালবাহী ও পার্সেল ট্রেন চলে।