চুয়াডাঙ্গায় সাবেক শাশুড়িকে হত্যা মামলায় জামাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে চার আসামিকে ।
৮ বছর মামলা চলার পর চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জিয়া হায়দার মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আসামিদের উপস্থিতিতে ওই রায় দেন।
যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া আসামির নাম আতিয়ার রহমান। তিনি যশোরের চৌগাছা উপজেলার গুয়াতলী গ্রামের বাসিন্দা।
৭ বছর করে কারাদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন, গুয়াতলী গ্রামের আব্দুল লতিফ, আব্দুল মোমিন, আব্দুল গনি ও একই উপজেলার বাদেখানপুর গ্রামের মাঝপাড়ার আনোয়ার হোসেন আনু।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক কেএম জাহাঙ্গীর কবীর।
মামলার এজহারে বলা হয়েছে, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা পৌর এলাকার আজিমপুর স্কুল পাড়ার আব্দুল কাদেরের মেয়ে জোসনা খাতুনের সঙ্গে যশোর চৌগাছার আতিয়ার রহমানের বিয়ে হয়। পারিবারিক কলহের কারণে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।
২০১৪ সালের ২৬ জুন জোসনা খাতুনের বাড়িতে যান আতিয়ারসহ ৫ আসামি। ওই সময় সাবেক স্ত্রী জোসনাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তারা। তখন জোসনার মা তহমিনা খাতুন বাধা দিলে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন আতিয়ার।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পরদিন ওই ঘটনায় ৫ জনকে আসামি করে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহতের স্বামী আব্দুল কাদের। মামলাটি তদন্ত শেষে ওই বছরের ৩১ অক্টোবর আদালতে চূড়ান্ত অভিযোগপত্র দেয় দর্শনা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান।
মামলায় ১৪ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য নেয়া হয়। পরে ৮ বছর পর ওই মামলায় রায় দেয়া হয়।
মামলাটি পরিচালনা করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বেলাল হোসেন।
চুয়াডাঙ্গা কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক কেএম জাহাঙ্গীর কবীর জানান, সন্ধ্যায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।