আসামির স্বজনের সঙ্গে ঘুষ লেনদেনের ফোনালাপ নিয়ে আলোচনায় থাকা গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তৌহিদুজ্জামানকে বদলি করা হয়েছে বরিশালে।
বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধার পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘বরিশাল রেঞ্জে তাকে বদলি করা হয়েছে।’
ঘুষ লেনদেনের বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘তদন্তে যা পাওয়া গেছে; তা উর্দ্ধতনদের কাছে পাঠানো হয়েছে। তারা বিষয়টি দেখবেন।’
ওসি তৌহিদুজ্জামানের বদলির বিষয়টি মঙ্গলবার জানাজানি হয়। এ বিষয়ে তার বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলে পাওয়া যায়নি। একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ওসির ঘুষ লেনদেন বিষয়ে গত ১৬ মার্চ একটি অডিও ফাঁস হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি তৌহিদুজ্জামানকে প্রত্যাহার করা হয়। গাইবান্ধা পুলিশ লাইনসে তাকে সংযুক্ত রেখে বিভাগীয় তদন্ত হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) মো. আবদুল আউয়াল তদন্তশেষে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিয়েছেন। তবে তা প্রকাশ করা হয়নি।
অভিযোগে জানা যায়, গত বছরের ১০ এপ্রিল গাইবান্ধা শহরের নারায়নপুর এলাকার একটি বাসা থেকে ব্যবসায়ী হাসান আলীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বাসাটি জেলা আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত উপ-দফতর সম্পাদক মাসুদ রানার।
নিহতের স্ত্রী বিথী বেগম বাদি হয়ে সদর থানায় যে মামলা করেন তাতে আসামি করা হয় মাসুদ রানা, রুমেল হক ও খলিলুর রহমান নামের তিন জনকে। তিন আসামি বর্তমানে জামিনে আছেন।
অডিওতে ফাঁস হওয়া তথ্যে জানা যায়, মামলার তদন্তকারী ওসি মো. তৌহিদুজ্জামান কথা বলেন আসামির দুই স্বজনের সঙ্গে। অভিযোগপত্র থেকে দুই আসামির নাম বাদ দেয়া ও ধারা কমিয়ে দিতে টাকা লেনদেনের কথাবার্তা হয়। কিন্তু এক আসামির নাম বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র জমা দিলে ‘ঘুষের টাকা’ ফেরত চান আসামির স্বজন।