গাজীপুরে আহসান উল্লাহ মাস্টারের স্মরণ সভায় চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়েছে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই পক্ষ। এতে অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
শহরের শিববাড়ি এলাকায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহীদ স্মৃতি স্কুল মাঠে গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত স্মরণ সভায় এ সংঘর্ষ হয়।
তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। আহতদের আশপাশের বিভিন্ন ফার্মেসি ও ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে জানান নেতাকর্মীরা।
জানা যায়, আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম।
আরও ছিলেন আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছেলে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
দুপুরের পর থেকে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানার ব্যানারে মিছিল নিয়ে সভায় যোগ দেন নেতাকর্মীরা। সভার শেষদিকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা যখন মঞ্চে বক্তব্য দিচ্ছিলেন সেই সময় মঞ্চের বাম পাশে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়।
একপর্যায়ে উভয় পক্ষ চেয়ার, ব্যানার, ফেস্টুনের কাঠ ও বাঁশ নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। উভয় পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ বেশ কয়েকজনকে লাঠিচার্জ করে।
পরে মঞ্চ থেকে নেমে এসে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেনসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা পরিস্থিতি স্বাভাবিকের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। ওই সময় মঞ্চ থেকে বারবার নেতাকর্মীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হয়।
এতেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মঞ্চ থেকে নেমে এসে নেতাকর্মীদের নিভৃত করেন। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে তড়িঘড়ি করে অনুষ্ঠান শেষ করা হয়।
গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সঞ্জিত কুমার মল্লিক বাবু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চেয়ারে বসা নিয়ে কয়েকজন নেতাকর্মীর মধ্যে হাতাহাতি হয়। শুনেছি টঙ্গীর কিছু কর্মী সমর্থকের মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে। শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের স্মরণ সভাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
‘পুরো অনুষ্ঠানটি সিসি ক্যামেরা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সেসব ফুটেজ দেখে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন মোল্লার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন ধরেননি।
গাজীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘চেয়ারে বসা নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সামান্য হাতাহাতি হয়েছে। পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।’