বরিশালের উজিরপুরে গাছের সঙ্গে ধাক্কায় যমুনা লাইন পরিবহনের ১০ যাত্রী নিহতের ঘটনা তদন্তে পুলিশ খুঁজছে চালক আরিফ খানকে। দুর্ঘটনার পর তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী আর্শাদ বলেন, ‘দুর্ঘটনায় ১০ যাত্রীর প্রাণহানির ঘটনায় মামলা করেছে হাইওয়ে পুলিশ। আর মামলাটি তারাই তদন্ত করছে। সে কারণে তদন্তের অগ্রগতি তারা ভালো বলতে পারবে। আমরা তদন্তে সহযোগিতা করছি। দুর্ঘটনার জন্য বাসটির চালক দায়ী বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাকে আমরা খুঁজছি।’
যমুনা পরিবহনের চালক আরিফ খান পালিয়ে বেড়াচ্ছেন জানিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর তিনি বেঁচে আছেন বলে আমরা মোটামুটি নিশ্চিত। আমরা তার মোবাইল ট্রাকিং করে সবশেষ সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটে বাকেরগঞ্জে থাকার তথ্য পেয়েছি। যদিও কিছুক্ষণ পরই তার মোবাইল আবার বন্ধ পাওয়া যায়। তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি, চেষ্টা চলছে।’
পুলিশ জানায়, বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের উজিরপুরে ২৯ মে ভোর সাড়ে ৫টায় দুর্ঘটনায় পড়ে যমুনা লাইন পরিবহনের বাস। এ সময় চালক ঘুমিয়ে ছিলেন বলে তাৎক্ষণিক ধারণা প্রকাশ করেন ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা। হতাহতদের মধ্যে চালক থাকতে পারেন বলেও মনে করা হচ্ছিল। পরে তার মোবাইলের অবস্থান বাকেরগঞ্জে নিশ্চিত হলে সে মোতাবেক আরিফকে আটকের চেষ্টা চলছে। একই সাথে গাড়িটির মালিকের মোবাইল ফোনও বন্ধ আছে।
বাসের চালক আরিফ খানের বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার বোয়ালিয়ায়। তার পিতার নাম মানিক খান।
ওসি আলী আর্শাদ বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানোর কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। চালক আরিফ খান দুর্ঘটনার সময় নিজেকে রক্ষা করে জানালা দিয়ে লাফিয়ে পালিয়ে গেছেন। চালকের জানালার পাশে রক্তের চিহ্ন দেখে তিনি কিছুটা আহত বলেও মনে করা হচ্ছে। তাকে আটক করা গেলে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানা যাবে।’
গত ২৯ মে ভোরে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের উজিরপুর উপজেলার বামরাইলে যাত্রীবাহী যমুনা পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারালে রাস্তার পাশে গাছের সাথে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলে ৯ জন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া আহত হন অন্তত ২৫ জন।