চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে এক আওয়ামী লীগ নেতার খামার থেকে স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধারের ৯ মাস পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নের সাপমারা এলাকায় মঙ্গলবার মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
নিহত ১৭ বছর বয়সী ওই কিশোরের নাম ইমরান হোসেন ইমন। সে ওই এলাকার আব্দুল কাদেরের ছেলে। ইমন স্থানীয় শান্তিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
ভুজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন ফারুকী বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
ওই ছেলেকে খুন করা হয়েছে দাবি করে ৭ মাস পর চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন বাবা আব্দুল কাদের। মামলার আসামিরা হলেন শফিউল আলম হিরু, বদিউল আলম, মো. ইসমাইল, মো. সোহেল, মো. ফজল করিম ও সুজন।
মামলার মূল অভিযুক্ত শফিউল সাবেক সেনাসদস্য এবং দাঁতমারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক।
ওসি হেলাল উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি ভুজপুর থানায় নতুন এসেছি। আগে কেন মামলা হয়নি তা জানি না। মঙ্গলবার আদালতের নির্দেশে ঘটনার সঠিক তদন্তের উদ্দেশ্যে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
মামলার বাদী আব্দুল কাদের বলেন, ‘আমার ছেলের মরদেহ পাওয়ার পর তড়িঘড়ি করে দাফন করে দিয়েছে ওরা (খামার মালিক পক্ষ)। ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে আমি অজ্ঞান ছিলাম। পরে মানসিক অবস্থা কিছুটা স্বাভাবিক হলে বুঝতে পারি আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছে।
‘এলাকার সবার পরামর্শে থানায় মামলা করতে গেলে মামলা নেয়নি। তাই আদালতে ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেছি। আজ আদালতের নির্দেশেই মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার সময় ওরা সবাইকে বলেছে খামারটি আমাদের। আসলে খামারটি আমাদের না। খামারটি ছিল আওয়ামী লীগ নেতা শফিউল আলমের। আমার ছেলে ওই খামারে চাকরি করত। তাকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করাতেন আর্মি শফি। বিভিন্ন সময় মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতেন।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা শফিউল আলমকে একাধিবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি। তাকে মেসেজ পাঠানো হলেও উত্তর দেননি।